লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জলিল সর্দার হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়া মামলার বাকি চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৩৫ বছরের হারুনুর রশিদ ব্যাপারীর বাড়ি রায়পুর উপজেলার উদমারা এলাকায়।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার আবুল কালাম, জাহিদ হোসেন, আক্তার হোসেন ও তোফায়েল পালোয়ান।
আদালত থেকে জানা যায়, উদমারা এলাকায় ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে জলিল সর্দারকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন আসামিরা। পরদিন সকালে এলাকার ধানক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় জলিলের বাবা সিরাজ সর্দার রায়পুর থানায় ওই পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর রায় দেয় আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘জলিল সর্দারকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।’