নরসিংদীর পলাশে দুই হাতের কবজি হারানো এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালে সোমবার রাতে তাকে ভর্তি করা হয়।
আহত হাদিউল্লাহ ভুইয়া শিবপুর উপজেলার বাড়িগাঁও গ্রামের মোরশেদ ভুইয়ার ছেলে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ।তিনি জানান, হাদিউল্লাহ তাদের বলেছেন, গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামে সোমবার রাত ২টার দিকে তার হাতের কবজি কেটে নেয় জালাল উদ্দিন। জালাল পলাশ উপজেলার ওই গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে। তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে।
ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার দূরে দরিচর এলাকা থেকে হাদিউল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার হাতের কবজি পাওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আহত হাদিউল্লাহ একেক সময় ঘটনার একেক বর্ণনা দিচ্ছেন। আমাদের ধারণা, জালাল উদ্দিনের সঙ্গে সেও নানা অপরাধে জড়িত। জালাল কেন তার কবজি কেটে নিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
নরসিংদী ১০০ শয্যা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার গভীর রাতে দুই হাতের কবজিবিহীন হাদিউল্লাহকে নিয়ে আসা হয়। তাকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে তার কোনো স্বজন না আসায় সে এখনও হাসপাতালে রয়েছে।’