পূর্বশত্রুতার জেরে নারায়ণগঞ্জের সদরে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক সদস্যকে ‘পিটিয়ে ও কুপিয়ে’ হত্যার ঘটনায় মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চরসৈয়দপুর এলাকা থেকে সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই রাতেই মামলা করেন নিহতের স্ত্রী সমতাজ বেগম। মামলায় বর্তমান ইউপি সদস্যসহ ২২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাবেক ইউপি সদস্য দৌলত হোসেনের বাড়ি চরসৈয়দপুর এলাকায়। গোগনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন। তার নামেও হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হত্যা মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন, গোগনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আহাম্মেদ, সৈয়দপুর এলাকার ইমরান হোসেন মো. রানা, হিমু, মো.শাওন, মো. ফাহাদ, তাওলাদ হোসেন, আমির হোসেন, মো. রিহান, মো.হাবিব, সাদ্দাম হোসেন, মো. শুভ, আবু কাসেন, মো. মাসুদ, লুৎফর রহমান, মো. নাজির, মো.রাসের, সেলিম মিয়া, মোহাম্মদ হোসেন. মাসুদ রানা, মো. তয়ন ও মো. আনসার। এর মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন, তন্ময় ও মো. মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এজহারে বলা হয়, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওষুধ কিনতে বাসা থেকে বের হন দৌলত হোসেন। পথে পুরান সৈয়দপুর ৩য় শীতলক্ষ্যা ব্রিজের ঢালে পৌঁছানো মাত্রই সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে দৌলত হোসেনকে টেনে বের করে মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য রুবেল।
এরপর তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে দৌলতের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মামলার অন্য আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দৌলতকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে তার পায়ের রগ কেটে দিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায় আসামিরা।
এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দৌলতকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য রুবেলসহ আরও অনেকে পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’