নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে মঙ্গলবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের সভায় যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ দলের নেতৃত্ব দেবেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় এ বিষয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ইভিএম যাচাইয়ের সুযোগ দিতে এ সভা। তৃতীয় ধাপের এ সভায় ১৩টি রাজনৈতিক দল আমন্ত্রণ পেয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ইসি ধারাবাহিক সংলাপে বসে। তারই ধারাবাহিকতায় নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইসি।
সংলাপে বসার আগে ইভিএম নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ইসি। ইতোমধ্যে ১৩টি দলে ভাগ করে দুই দফায় আলোচনা সভা হয়েছে। মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি আরও ১২টি দল এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেবে। এর আগে দুই ধাপে ২৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নিয়েছে ১৮টি দল।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ইসির ডাকা সভায় অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে এ টিমে থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ নেতারা।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আউয়াল কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নিয়োগ পাওয়ার পরদিন শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দাপ্তরিক কাজ শুরু করে নতুন কমিশন। নির্বাচনি ব্যবস্থার দায়িত্ব পেয়ে গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল যথাক্রমে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী এবং নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
পরে পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে সংলাপে বসার কথা থাকলেও তার আগেই ইভিএম যাচাইয়ের জন্য চিঠি পাঠায় ইসি। তৃতীয় ধাপে মঙ্গলবারের সভায় আমন্ত্রণ পাওয়া ১৩টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট পার্টি (মুক্তিজোট)।