বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আত্মহত্যা’য় অভিযুক্ত সুদের কারবারি

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২২ ১৯:৫৪

পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল-আমিন বলেন, ‘কালামের কাছে যারা টাকা পায় তাদের একজন তার মাহেন্দ্র আটকে রেখেছে। আরেকজন স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। এ কারণে কালাম আত্মহত্যা করেছে।’

বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় সুদ কারবারিদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে এক থ্রি-হুইলারচালক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এর আগে রোববার বিকেলে বিষপান করেন ৪০ বছর বয়সী থ্রি-হুইলারচালক মো. কালাম সেরনিয়াবাত। তিনি গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল এলাকার মৃত হাসেম সেরনিয়াবাতের ছেলে। উপজেলার টরকী বন্দর অটো-টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের লাইনম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

কালামের মামা আনোয়ার জানান, কালাম বিভিন্ন কারবারির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা সুদে টাকা এনেছিলেন। এর মধ্যে গৌরনদীর সুদ কারবারি আহাদুল হাওলাদারের কাছ থেকে দৈনিক ১ হাজার টাকা সুদ দেয়ার শর্তে ১ লাখ এবং ভুরঘাটা এলাকার আবুল কালামের কাছ থেকে দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টাকা দেয়ার শর্তে ৩ লাখ টাকা এনেছেন।

এ ছাড়া আরও কয়েকজনের কাছ থেকে সুদে টাকা এনেছিলেন কালাম। কিন্তু প্রতিদিন সুদের টাকা দিতে না পারায় কারবারিদের হাতে নাজেহাল হতে হতো তাকে। এর মধ্যে আহাদুলের টাকা দিতে না পারলে মারধর ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন তিনি।

গত শনিবার আহাদুল তাকে ধরে নিয়ে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন। রোববার বিকেলের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার শর্ত দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন রোববার ভুরঘাটা গেলে আরেক সুদ কারবারি আবুল কালাম তাকে মারধর করে থ্রি-হুইলার রেখে দেন।

এসব কারণে রোববার বিকেলে টরকী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিষপান করেন কালাম। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গৌরনদীর আশোকাঠি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আনোয়ার বলেন, ‘ভাগনের আত্মহত্যার ঘটনায় তার পরিবার গৌরনদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নিয়ে থানায় গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে আছে।’

পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল-আমিন বলেন, ‘কালামের কাছে যারা টাকা পায় তাদের একজন তার মাহেন্দ্র আটকে রেখেছে। আরেকজন স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। এ কারণে কালাম আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা করতে কালামের স্ত্রী থানায় আছেন।’

বিষয়টি নিয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। কালামের মেয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে। যদি সত্যতা থাকে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর