পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াতের খরচ আরও বাড়ল। এতদিন ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারে কোনো টাকা দিতে না হলেও এখন থেকে এই পথে কিলোমিটার প্রতি ১০ টাকা করে টোল ঠিক করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর পরদিন সোমবার সড়ক মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপসচিব ফাহমিদা হক খান সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী ১ জুলাই শুক্রবার থেকে এ টোল কার্যকর হবে।
এই এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক নাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। এর দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার। এই হিসেবে পুরো সড়ক ব্যবহারের জন্য দিতে হবে ৫৫০ টাকা। এর সঙ্গে যোগ হবে সেতু পারাপারের টোল।
সেতু পারাপারে মোটর সাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন এক শ টাকা এবং বড় বাসের জন্য দুই হাজার ৪০০ টাকা টোল ঠিক করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে এই টোলহার কেবল মাঝারি ট্রাকের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্য গাড়ির ক্ষেত্রে টোলহার কী হবে, সেটি অবশ্য জানানো হয়নি।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সময় টোল নির্ধারণ করা হয় মাঝারি আকারের গাড়িকে স্ট্যান্ডার্ড ধরে। এখানেও আমরা সেটা করেছি। আমরা চূড়ান্ত টোল হার নির্ধারণ কাজ করছি। সেটা চূড়ান্ত হলে জানিয়ে দেব।’
পরে প্রজ্ঞাপনে সই করা মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপসচিব ফাহমিদা হক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাঝারি ট্রাক আমাদের ভিত্তি। সেটাকে ধরে আমরা প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা নির্ধারণ করেছি। কোন গাড়ি কত টাকা টোল দেবে, সেটি নির্ধারণ করে আগামীকাল জানানো হবে।’
কোনো গাড়ি যদি পুরো পথ ব্যবহার না করে তাহলে কত টাকা টোল দিতে হবে- এমন প্রশ্নে ফাহমিদা বলেন, ‘ঢাকার দোলাইয়ের পাড় থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ছয়টি টোল বুথ থাকবে। বুথগুলো হলো মাওয়া প্রান্তে আবদুল্লাহপুর, ধলেশ্বরী, শ্রীনগর পর্যন্ত তিনটি এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে, কুলিয়াবাজার, মালিগ্রাম ও ভাঙ্গা পর্যন্ত আরও তিনটি টোল বুথ থাকবে। একটি বুথ দিয়ে ঢুকলে সেই গাড়িকে কমপক্ষে পরবর্তী টোলবুথ পর্যন্ত টাকা দেবে।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এতে অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। পরবর্তীতে টোল নীতিমালা ২০১৪ অনযায়ী যথাসময়ে টোল হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।
দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-ভাঙা চালু হয় ২০২০ সালের ১২ মার্চ। শুরু থেকেই জানানো হয়, এই সড়ক ব্যবহার করতে টাকা দিতে হবে। তবে পদ্মা সেতু চালুর আগ পর্যন্ত টোল বসানো হবে না, এটিও জানানো হয়েছিল আগেই।
এই সড়কে কয়েকটি সেতুতে আলাদা টোল আছে। এক্সপ্রেসওয়ের টোল চালু হওয়ায় এই সেতুগুলোর জন্য আলাদা কোনো টাকা দিতে হবে না।