কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের পৌর এলাকার ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সন্ধ্যায় এবং সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও ও ব্যাপারীপাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. অলিউল্লাহ ও বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের লোকজনের মধ্যে ঝালমুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আজকে (সোমবার) দুপুরে আবারও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. অলিউল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি দোকানে আমার ছেলে আলভী ও ভাতিজা জনি ঝালমুড়ি খেতে যায়। এ সময় বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা হাবিব, মামাতো ভাই সুজনসহ বেশ কয়েকজন একই দোকানে ঝালমুড়ি খেতে আসে। পরে এসে তারা আগে খেতে চাইলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়।
‘একপর্যায়ে তারা আমার ছেলে এবং ভাতিজার ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা এসে তাদের ধাওয়া দেয়। চলে যাওয়ার পথে আমার বড় ভাই জালালের দোকানে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা।’তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। তাহলে কী নিয়ে ঝামেলা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তার লোকজন এলাকায় মাদক কারবার পরিচালনা করে আর আমরা সেগুলোর প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে আমাদের প্রতি তাদের ক্ষোভ রয়েছে।’
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তার লোকজনের সঙ্গে আমার লোকজনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। সংঘর্ষ হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। ‘রোববার রাতে ঝালমুড়ি ও ফুচকার দোকানদার আল-আমিনের দোকানে বেশ কয়েকটি মেয়ে ফুচকা খেতে আসে। এ সময় সাবেক কাউন্সিলর অলিউল্লাহর ছেলে আর ভাতিজা এসে তাদের উত্ত্যক্ত করে। দোকানদার বিষয়টিতে প্রতিবাদ করলে তারা তাকে মারধর করে। এতে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’