মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৯ জুন দিন ঠিক করেন। এ মামলায় মোট ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এদিন কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
সাক্ষীরা হলেন সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক আব্দুল মমিন, জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া দিদারুল আলম নামে আরও একজন সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ১৫ জুন জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন র্যাবের তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত সারওয়ার আলম আদালতে জানান, তার নেতৃত্বে জি কে শামীমের অফিস ও বাসায় অভিযান হয়। তখন নগদ টাকা, অস্ত্র, বিদেশি মুদ্রা, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র ও কিছু চেক বই জব্দ করা হয়।
আলোচিত এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, সামসাদ হোসেন, আনিছুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম। তারা জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত।
জি কে শামীমকে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আটক করে র্যাব। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে মানি লন্ডারিং, মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট জমা দেন। ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত।