পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট বল্টু খুলে এক টিকটকারের আটক এবং তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার ঘোষণার মধ্যেই নাট খোলার আরও একটি ভিডিও ছড়িয়েছে।
দুটি ভিডিও পর্যালোচনা করলে দেখে মনে হয়, দুটো একই জায়গায় করা হয়েছে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা-সিআইডি বলেছে, তারা বেশ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে একস্ঙ্গে কাজ করছে। এসব বিষয়ে পরে জানানো হবে।
রোববার পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর দিন সেতুতে উঠতে বিশেষ করে বাইকারদের মরিয়া মনোভাবের মধ্যে সেতুর রেলিংয়ের ওপরে থাকা স্টিলের পাত সংযোগের নাট বল্টু খুলতে দেখা যায় একটি ভিডিওতে।
পরে জানা যায়, সেই যুবকের নাম বাইজীদ তালহা। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামে।
ভিডিওটি প্রথমে আপলোড করা হয়েছিল টিকটকে। সেটি ভাইরাল হলে তুমুল সমালোচনার মুখে তা সরিয়ে ফেলা হয়। এমনকি বাইজীদের ফেসবুক আইডিটিও ডিঅ্যাকটিভেট করে ফেলা হয়। বন্ধ হয়ে যায় ফোন নম্বর।
তবে সন্ধ্যার ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। সেই যুবক হাত দিয়ে নাট বল্টু খোলার কথা জানানো হলেও গোয়েন্দারা জানান, বাইটের নাট খোলার যন্ত্র দিয়ে সেতুর রেলিংয়ের নাট খোলা হয়েছে।
এর মধ্যে টিকটকেই আরও একটি ভিডিও প্রচার হয়।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, নাট খুলে লম্বা গড়নের এক যুবক বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নাট।’
অন্য একজন বলেন, নাট খুইল্যা গেছে?’
সেই যুবক বলেন, ‘ঝাকায়া খুইল্যা ফালাইছি হাত দিয়া’।
এই সবগুলাই কি লুজ?-জিজ্ঞেস করেন ভিডিওতে চেহারা দেখা না যাওয়া দ্বিতীয় জন।
এর মধ্যে সেই নাটটি জায়গা মতো স্থাপন করেন সেই যুবক। বলেন, ‘এইগুলা লুজ। লাগায়া দিলাম। ক্যামেরা দেহাইয়া লাগাইয়া দিলাম।’
ভিডিওতে চেহারা দেখা যায় না, সেই যুবক বলেন, ‘এখন লাগায়া দিছেন, কিন্তু রাইতে আবার কী করবেন না করবেন…’
এরপর সেই যুবক পাশের আরেকটি জোড়ার কাছে যান, ‘এই যে দেখেন আরেকটা। এতে আমি কিন্তু কোনো রেঞ্জ ব্যবহার করি নাই।’
তবে তিনি সেই নাট খুলেছেন, কি না সেটা দেখা যায় না।
এর আগের যে ভিডিওটি ছড়িয়েছিল এবং দ্বিতীয় ভিডিওর স্থানটি একই বলেই প্রতীয়মান হয়, যদিও বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ বিস্তারিত জানাচ্ছে না। দ্বিতীয় যুবকের পরিচয়ও কেউ নিশ্চিত করেনি।
যোগাযোগ করা হলে সিআইডির সাইবার ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের বেশ কয়েকজনের বিষয়ে খোঁজ করছি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’