বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতুতে উঠতে পারছে না সাতক্ষীরার বেশির ভাগ গাড়ি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ জুন, ২০২২ ২১:২১

গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামিল সরোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাস নিয়ে কেউ পদ্মা সেতু হয়ে যেতে গেলে এসে আলোচনা করুক, আবেদন করুক, আমরা অনুমতি দিয়ে দেব। কেউ আলোচনা না করে পরিবহন এ সড়কে চালাতে পারবেন না, এটা নিয়ম।’

স্থানীয় বাস মালিক সমিতির রুট পারমিট না থাকায় পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যেতে পারছে না সাতক্ষীরার বেশির ভাগ বাস।

পরিবহন মালিকরা বলছেন, বিআরটিএর অনুমোদন পেলেও স্থানীয় মালিক সমিতিগুলোর অনুমোদন না থাকায় পদ্মা সেতু রুটে গাড়ি নামানো যাচ্ছে না।

সাতক্ষীরার এক পরিবহন মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সরকার যখন একটা গাড়ির লাইসেন্স দেয়, তখন সব সড়কে চালানোর অনুমতি থাকে। তবে সড়কে চলতে গেলে জেলার পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে খুশি করতে হয়। এটা না করলে তারা নানা রকম বাধাবিপত্তি দেন।’

তিনি বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে গেলে গোপালগঞ্জ জেলার মালিক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ম্যানেজ করতে হয়। তাদের কিছু দিতে হয়। সেটা আমরা এখনও করতে পারিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আলোচনা করে আমরা এই রুটে পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করব। সেই প্রক্রিয়া চলছে।’

সাতক্ষীরা লাইনের ম্যানেজার ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘আমাদের গাড়ি ১ জুলাই থেকে গোপালগঞ্জ-মাওয়া রুট দিয়ে চলাচল করবে। গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

একে ট্রাভেলসের ম্যানেজার কাজল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সব গাড়ি ১ জুলাই থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। কিছু গাড়ি দৌলতদিয়া-আরিচা রুট দিয়েও চলাচল করবে।’

রুট পারমিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদেরকে সব রুটে চলাচলের জন্য লাইসেন্স দিয়েছে। তবে গোপালগঞ্জ-মাওয়া রুট দিয়ে চলতে গেলে ওইসব রুটের পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন করে আলাদা করে পারমিশন নিতে হবে।’

এসপি গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার মিলন কুমার রায় বলেন, ‘আমাদের গাড়ি ১ জুলাই থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এখনও সব গাড়ি দৌলতদিয়া-আরিচা ফেরিঘাট হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। তবে যেসব যাত্রী গাবতলী, কল্যাণপুর, শ্যামলী, সাইনবোর্ডসহ তার আশপাশে যাবে, তারা পদ্মা সেতু হয়ে যাবে না। কারণ, তাদের ওপাশ দিয়ে ঢাকা পৌঁছাতে অনেক ঘুরতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সোহাগ পরিবহন, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও ইমাদ পরিবহন পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাচ্ছে। বাকি পরিবহনগুলো কবে নাগাদ পদ্মা সেতু হয়ে যাবে তা জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে সাতক্ষীরা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি তাহমিদ চয়নকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।গোপালগঞ্জ বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামিল সরোয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাস নিয়ে কেউ পদ্মা সেতু হয়ে যেতে গেলে এসে আলোচনা করুক, আবেদন করুক, আমরা অনুমতি দিয়ে দেব। কেউ আলোচনা না করে পরিবহন এ সড়কে চালাতে পারবেন না, এটা নিয়ম।

‘কোনো পরিবহন মালিক এ সড়কে গাড়ি নামাতে চাইলে তাকে আসতে বলুন। শুধু এখানে নয়, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর জেলার মালিক সমিতি থেকেও তাকে অনুমতি নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে চলাচলের জন্য বিআরটিএ অনুমতি দেয়। আমরা অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়ে থাকি। যেসব পরিবহন মালিক এরই মধ্যে অনুমতি নিয়েছেন, সেসব পরিবহন চলাচল করছে।’

ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোমরা বন্দরের ব্যবসায়ী নেতারা।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম খান নিউজ বাংলাকে জানান, ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ট্রাক পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর