সাতক্ষীরা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাতায়াত শুরু করেছে দূরপাল্লার বাস। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ভোর সাড়ে ৫টায় প্রথম যাত্রীবহন শুরু করে।
কালের সাক্ষী হতে প্রথম দিন যেতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে ভাড়া নিয়ে সন্তুষ্ট নন তারা।
এদিকে সেতু চালু হলেও এখনও পণ্য পরিবহনের সুফল পাননি জেলার মানুষ।
সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতির এক কর্মকর্তা জানান, সাতক্ষীরায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে দুটি কোম্পানি পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার রুট পারমিশন পেয়েছে। তারা হলো টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও গ্রিনলাইন পরিবহন।
ঢাকায় যেতে বাস ভাড়া ধরা হয়েছে নন-এসি ৭০০ টাকা ও এসি ৮০০ টাকা। ৫ ঘণ্টা সময় ধরা হয়েছে ঢাকায় পৌঁছাতে। সময় কম লাগায় উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা।
আশাশুনির আনুলিয়া থেকে আসা মোক্তার হোসেন বলেন, ‘ভোগান্তি কমাতে ব্যাপক খুশি আমরা। আগে ঢাকা থেকে আসতে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা লাগত। আর নাব্য সংকটসহ নানাবিধ কারণে ফেরি সংকটে মাঝে মাঝে ২০ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগত।
‘নাড়ির টানে ঘরে ফেরা লোকদের রাস্তায় ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। সে হিসাবে আমরা অনেক স্বস্তি পাব আশা করছি।’
ভাড়া নিয়ে অভিযোগ করে মোক্তার বলেন, ‘দূরপাল্লার বাসে প্রতি কিলোমিটার ১ দশমিক ৮০ টাকা ও টোল ধরে ঢাকার বাস ভাড়া ৫৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। সেখানে ভাড়া ধরা হচ্ছে ৭০০ ও ৮০০ টাকা।’
টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের স্থানীয় ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টা থেকে গাড়ি ছাড়া শুরু হবে। সারা দিনই প্রায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় গাড়ি ছাড়বে। তবে টোল ও ২৬০ কিলোমিটার বাস ভাড়ায় এমন ভাড়া যৌক্তিক বলে মনে করি।’
এদিকে পণ্য পরিবহনে এখনও সুখবর মেলেনি সাতক্ষীরায়। প্রতি কেজি আম পাঠাতে আগে ১২ টাকা থেকে ১৭ টাকা খরচ হতো। রোববারও আম বুকিংয়ে একই টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এক পণ্য পরিবহন কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরা থেকে পাঠানো মালামাল সাধারণত গাবতলী এলাকায় ট্রাক খালাস করা হয়। তাই পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলী এলাকায় ঘুরে আসতে তাদের খরচ বেড়ে যাবে। তা ছাড়া এক একটি ট্রাক ফেরি পার করতে লাগত ১ হাজার ৮০০ টাকা।
অপরদিকে পদ্মা সেতুতে একটি ট্রাকের টোল ২ হাজার ৪০০ টাকা। সুতরাং খরচ বেশি। তবে পদ্মা সেতুর সুবিধা নিতে অচিরেই মালিকদের বৈঠক হবে।