পুলিশের উন্নয়ন এবং তাদের যুগোপযোগী করতে আরও একটি নতুন আইন হচ্ছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৮টি আইন ও অধ্যাদেশ রয়েছে। এ ছাড়া সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পুলিশকে আরও জনবান্ধব ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং বর্তমান অবস্থার সঙ্গে মিল রেখে নতুন করে বাংলাদেশ পুলিশ আইন (খসড়া) প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
সংসদ অধিবেশনে রোববার বিকেলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, খসড়া পুলিশ আইনে পুলিশকে আরও জনবান্ধব করে বাংলাদেশ পুলিশকে একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বিভিন্ন ধারা-উপধারা সংযোজন করা হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদ মোতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী। তবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ সদস্য গাফিলতি বা আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। পুলিশ বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘এ সরকারের আমলেই দেশের সব বড় প্রকল্প বাস্তবায়নসহ প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার মধ্যে একটি বড় সাফল্য ও অর্জন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। দেশ যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আমেজে মেতে উঠেছে, ঠিক তখনই সেতু উদ্বোধন সামনে রেখে সরকারের এই বড় অর্জন ম্লান করে দিতে একটি চক্র অপপ্রচার, গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।’
‘সরকার দেশের জনগণের সুরক্ষা, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ও শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অপরাধী যেই হোক না কেন, যে দলের হোক না কেন, তাদের দমনে সরকার অত্যন্ত কঠোর।’