বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিপু-প্রীতি হত্যা: মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২২ ১৯:১৩

পুলিশ জানায়, এর আগে তিন দফায় রিমান্ড চলে মুসার। তৃতীয় দফা রিমান্ড চলাকালে মুসা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন।

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন শুটার সুমন শিকদার ওরফে মুসা।

মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী।

রোববার মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি জানান শাহজাহানপুর থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. শওকত আকবর।

এর আগে তিন দফায় রিমান্ড চলে মুসার। তৃতীয় দফা রিমান্ড চলাকালে মুসা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা মুসার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এরপর মুসার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়িতে থাকা টিপু।

এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী প্রীতি।

এ ঘটনার পরের দিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

মামলার পর ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ২৮ মার্চ তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয় আদালত।

আলোচিত এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুটার মাসুমের জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনায় মুসার নাম আসে।

এরপর ওমানে পালিয়ে যাওয়া মুসাকে গত ৯ জুন দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

সে সময় পুলিশ জানায়, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুটার মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তার দেয়া জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসাকে উল্লেখ করেন। টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগেই মুসা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর ওমান পুলিশ মুসাকে আটক করার পর সেখান থেকে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ডিবি জানায়, মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য।

ডিবি ও র‍্যাবের তথ্য অনুযায়ী প্রতিপক্ষ টিপুকে হত্যা করতে রিজভী হাসান হত্যা মামলার আসামিদের ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনার তিন-চার মাস আগে টিপু হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মুসার সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। এর মধ্যে প্রথমে মুসাকে ৯ লাখ টাকা দেন তিনি। মার্চের ১২ তারিখে টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন শিকদার ওরফে মুসা। সেখান থেকে যান ওমানে।

এ বিভাগের আরো খবর