বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফেরিঘাটে হাহাকার, দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২২ ১৭:৪০

রোববার সকাল থেকে ঘাটে আসেনি কোনো ফেরি। ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি ফেরি। যাত্রী কিছুটা কম হলেও স্বাভাবিক আছে মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের লঞ্চ পারাপার।

কিছুদিন আগেও যাত্রী, যানবাহন আর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাপে তিলধারণের জায়গা হতো না মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বদলে গেছে চিত্র।

ঘাট এলাকায় নেই চিরচেনা সেই শোরগোল। ২৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে খালি পড়ে আছে ফেরিঘাটে থাকা একমাত্র ১ নম্বর পন্টুনটি।

এর আগে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই ঘাট থেকে সব শেষ ফেরি হিসেবে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি বেগম রোকেয়া। আগেই অপসারণ করা হয়েছে ঘাটে থাকা অপর পন্টুনটি। তবে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে এই রুটের লঞ্চ পারাপার।

পদ্মা সেতুর কারণে ঘাটের এমন বদলে যাওয়া। শনিবার উদ্বোধনের পর রোববার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে চলছে যানবাহন।

সকাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যানবাহন পারাপার হচ্ছে সেতু দিয়ে। ফলে যানবাহন ও জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে মাঝিরঘাট ফেরিঘাট।

রোববার সকাল থেকে ঘাটে আসেনি কোনো ফেরি। ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি ফেরি। যাত্রী কিছুটা কম হলেও স্বাভাবিক আছে মাঝিরঘাট লঞ্চঘাটের লঞ্চ পারাপার।

৩০ মিনিট পরপর এই ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে একটি করে লঞ্চ। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীর উপস্থিতি চোখে পড়েছে। তবে তা অন্যান্য সময়ের চেয়ে কম।

ফেরিঘাট যানবাহনশূন্য থাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। দুই-একটি দোকান খুললেও বেচাকেনা ছিল না বললেই চলে। ইতোমধ্যে ঘাটে থাকা অনেক চা দোকানি তাদের দোকান অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের ১ নম্বর ঘাটের পাশে থাকা চা দোকানি ইসমাইল মাঝি বলেন, ‘দুই দিন ধরে ফেরি বন্ধ। এইহানে কোনো গাড়ি আহে না। মানুষের আহা-যাওয়া নাই। বেচাবিক্রি একবারে শ্যাষ হইয়া গেছে।

‘আইজ দুফারে দোকান পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় সরাইয়া নিছি। ওইহানে অনেক মানুষ বেড়াতে আহে। তাই বেচাবিক্রি ভালো হইব।’

শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য মাঝিরঘাটে আসা যাত্রী ননী গোপাল দে বলেন, ‘শরীয়তপুর থেকে ডাইরেক্ট বাসে সিট পাই নাই। তাই বাধ্য হয়ে সিটিং গাড়িতে মাঝিরঘাট এসেছি। লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে অন্য বাসে ঢাকা যাব। নিয়মিত বাস চলাচল করলে আমাদের ভোগান্তি থাকত না।’

রোববার ৪ ঘণ্টা মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে অপেক্ষা করেও যাত্রী বা যানবাহনের দেখা মেলেনি।

মাঝিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নেছার মাদবর বলেন, ‘মানুষ সব পদ্মা সেতু দিয়া পার হইতাছে। আমাগো এইহান দিয়া কেউ আহে না। ফেরিঘাটে ফেরি না থাকায় পন্টুনের ওপর লঞ্চ থামাইয়া যাত্রী ওঠানামা করতাছে।’

মাঝিরঘাট ফেরিঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘাটে যানবাহন না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই রুটে চলাচল করা সব ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরিঘাট প্রস্তুত আছে। ঘাটে যানবাহন আসলে ফেরি চলাচল করবে।

‘মাঝিরঘাট শিমুলিয়া নৌপথের ৭টি ফেরিতে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার হতো। ২৪ জুন সন্ধ্যা থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর