দুয়ার খুলেছে পদ্মা সেতুর। রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে যান চলাচল। প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে রাত থেকেই অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন সেতু এলাকায়। তাই দিন গড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বেড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতেও।
গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারে করে এক নজর দেখতে পরিবার নিয়ে রওনা করেছেন অনেকে। আবার গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাটের বাস সার্ভিস চালুতেও চাপ পড়েছে এক্সপ্রেসওয়েতে।
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা গোলচত্বর থেকে শুরু হয়েছে পদ্মা সেতু এক্সপ্রেসওয়ে। দৃষ্টিনন্দন এ সড়ক ধরে সরাসরি ওঠা যায় পদ্মা সেতুতে।
ভাঙ্গা উপজেলার বগাইল এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে টোলপ্লাজা। সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৫ জুলাই থেকে এক্সপ্রেস সড়কের টোল আদায় শুরু হবে। এক্সপ্রেস সড়কে যানবাহন চলতে সরকারকে নির্ধারিত পরিমাণ টোল দিতে হবে।
ভাঙ্গা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির মুন্সি বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই ভাঙ্গা গোলচত্বর দিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি।
‘অসংখ্য মানুষ যাচ্ছে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে। অনেকে পিকআপ ভাড়া করে রঙিন ফুল আর কাগজ দিয়ে সাজিয়ে রওনা করেছেন। আমি নিজেও সকালে বাইক নিয়ে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে গিয়েছিলাম।’
মধুখালী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসা রতন কুমার বলেন, ‘এ এক অন্যরকম অনুভূতি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাস গড়েছেন আর আমি তার সাক্ষী হলাম।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘পদ্মা সেতুকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাসের কমতি নেই, তাই অনেকেই দেখতে যাচ্ছেন। সড়কে নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার করা হয়েছে, যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।’
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি হামিদ উদ্দিন বলেন, ‘সকালে পদ্মা সেতুমুখী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমতে থাকে। এর পরও সড়কে আমাদের টহলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
‘টহলে আমরা বাইক আরোহীদের হেলমেট পরার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। দুর্ঘটনা এড়াতে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে সড়কে কোনো যানজট নেই। এক্সপ্রেসওয়ের টোল নেয়া এখনও চালু হয়নি। আগামী ৫ জুলাই থেকে চালু হলে হয়তো গাড়ির সিরিয়াল হতে পারে।’