দেশে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আর আবেদন করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তবে প্রবাসী ও বীরাঙ্গনা ক্যাটাগরিতে আবেদনের পথ এখনও খোলা রয়েছে।
রোববার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ সরকারি প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যারা আছেন, নতুনভাবে কেউ কোনো পর্যায়েই মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে না। শুধু বীরাঙ্গনা ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যাবে।’
রোববার মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি আরও বলেন, এটা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হতো। সেই অনলাইনই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আর প্রবাসীদের জন্য আবেদনের সুযোগ থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেবল প্রবাসে আছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য সুযোগটা এখনও খোলা আছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগটা তাদের জন্য থাকবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রেসক্রাইব ফর্মে তারা অ্যাম্বাসির মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নেই এ কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবে না। আমরা এক বছর আগেই প্রকাশ করে দিয়েছি যে, কোন থানায় কতজন মুক্তিযোদ্ধা। এখন কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নেই নিশ্চিত নন মন্ত্রীও
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ হওয়া তালিকায় যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা নেই এ বিষয়ে নিশ্চিত নন মন্ত্রীও। বলেন, ‘উপজেলা থেকে যে সব সময় সঠিক কাজটি করে এটা আমি আপনাদের শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব না। যারা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্বে থাকেন উনার ভুল করেন না, অন্যায় করেন না, এটা বলা যাবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুপারিশের মাধ্যমে গেজেটে তালিকাভুক্ত হয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ কাউন্সিলে অভিযোগ জমা দিলে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে প্রকাশ্যেই বলতো যে মুক্তিযোদ্ধারা নাকি আওয়ামী লীগের পক্ষে বলে, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বলে। তাই এমন শোনা যায়, যার লিখিত কোন ডকুমেন্টারি প্রমাণ নেই যে, মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যালেন্স করার জন্য অর্থাৎ তাদের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা আছে এটা দেখানোর জন্য অনেককে তারা নিয়ম লঙ্ঘন করে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছিল। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা গেজেট করেছিলেন।’