দেশের অন্যতম নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া। এ রুট দিয়েই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ উত্তাল পদ্মা পাড়ি দেন।
বছরের বেশির ভাগ সময় এ নৌপথে ভিড় আর জট থাকলেও পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে ঘাটগুলোর চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। তবে রোববার ভোর ৫টা ৫৮ মিনিট থেকে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
জানা যায়, সকালে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই যানবাহনের চাপ কমতে থাকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে। কমেছে ঢাকামুখী দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাও।
রোববার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ যানবাহন অপেক্ষার সারি চোখে পড়েনি। বাস ও ট্রাকগুলো ঘাটে আসামাত্রই সরাসরি ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে। এতে কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন যাত্রীরা। তাই স্বস্তির শ্বাস ফেলতে দেখা যায় অনেক যাত্রী ও চালকদের। এ ছাড়া লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটে যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
কুষ্টিয়া ছেড়ে আসা ট্রাকচালক আব্দুল্লাহ শেখ বলেন, ‘সকালে ঘাটে এসে কোনো লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। পেঁয়াজ নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। এতদিন ফেরি পার হতে ঘাটে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজ ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগছে। সেতু চালু হওয়ার কারণেই নৌরুটে যানবাহনের চাপ অনেক কমে গেছে।’
রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী যাত্রী রাতুল হাসান বলেন, ‘সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ির কোনো চাপ নেই। গাড়ি যেগুলো আসছে সবগুলো এসেই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। সারা বছর ঘাট এমন থাকলে এ রুটে কোনো ভোগান্তিই থাকবে না।’বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে সেতু দিয়ে অনেক গাড়ি পার হচ্ছে। ফলে এই নৌরুটে চাপ কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ রুটে ২০টির মধ্যে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ নেই বলে দুটি ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।’