পদ্মা সেতু হয়ে যানবাহন চলাচল শুরুর দিনে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শরীয়তপুরবাসী। যানজটের কারণে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার যেতেই সময় লাগছে ৩-৪ ঘণ্টা। স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাস্তাঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। কিন্তু সড়কগুলো সে অনুপাতে প্রশস্ত করা হয়নি। সরু সড়কের কারণে গাড়ির চাকা ঘুরছে না। পদ্মা সেতুর সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে হলে রাস্তা সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে হবে।
ভোগান্তি এড়াতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
রোববার সকাল থেকে শরীয়তপুর টোল প্লাজা পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়েছে যানবাহনের চাপ। শত শত গাড়ি আটকা পড়েছে সড়কজুড়ে। বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রেমতলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে।
প্রেমতলা থেকে জাজিরা পর্যন্ত সড়ক কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড়ে ছিল তীব্র যানজট। একই চিত্র কাজিরহাট মোড়েও। এই মোড় থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে দেখা গেছে সব ধরনের যানবাহনকে।
জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড়ে আটকা পড়া মোজাফফর হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু দেখতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। ভেবেছিলাম ‘দেড় ঘণ্টার মধ্যে সেতু দেখে শহরে ফিরে আসতে পারব। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড ও এখানে মিলে ২ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকা রয়েছি। যত কষ্টই হোক না কেন, সেতু পার না হয়ে বাড়ি ফিরব না।’
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পা ভেঙেছে ছেলে রাকিবের। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন বাবা আলী আজম সরদার। তিনি বলেন, ‘দ্রুত ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় যাওয়া প্রয়োজন। বাড়ি থেকে এসেছি ২ ঘণ্টা হতে চলল। এখনও কাজিরহাট পার হতে পারিনি। জানি না কখন পৌঁছাতে পারব। রাস্তা চওড়া না করা হলে আমরা পদ্মা সেতুর সুবিধা পাব না। সড়কে যানবাহনে চাপ অনেক বেড়েছে।’
শরীয়তপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আরিফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর খবরে সড়কে উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়েছে। এখানে থাকা সড়কগুলো সরু হওয়ায় যানজট তৈরি হয়েছে। আগামীতে সব যানবাহনকে পদ্মা সেতুতে উঠতে কাজিরহাট-নাওডোবা সড়ক এবং সেতু থেকে নেমে শরীয়তপুরমুখী যানবাহনকে গনিরমোড় সড়ক ব্যবহার করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করি তাতে সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।’