ঢাকার সাভারে মধ্যরাতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির এক কেন্দ্রীয় নেতাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই নেতাকে বহনকারী রিকশাচালককেও কোপানো হয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা আবুল হাসনাত আজাদকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে আশুলিয়ার গাজীরচট শের আলী মার্কেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত হাসনাত স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাভার উপজেলা সভাপতি। তারা গাজীরচট শের আলী এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভিতে দেখা যায়, দুই যুবক রাত আড়াইটার দিকে শের আলী মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। রিকশায় করে আসছিলেন হাসনাত। সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবকের সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় হাসনাত এক যুবককে থাপ্পড় দেন।
ঘটনাস্থলে মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীসহ ১০-১২ জন লোককে ভিড় করতে দেখা যায়৷ প্রায় ১০ মিনিট পর লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারতে থাকেন হাসনাত। এ সময় পকেট থেকে চাকু বের করে তাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন সেই যুবক।
আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসনাত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আবারও তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
রিকশাচালক মনির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, রাত দেড়টার দিকে হাসনাতকে নিয়ে তার বাসার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে শের আলী মার্কেট এলাকায় সড়কের মধ্যে দুই যুবক দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় হর্ন বাজালেও তারা পথ আটকে রাখে।
তিনি বলেন, ‘ওই যুবক ফোন কইরা কাউরে ডাইক্যা আনছিল মনে হয়। পরে চাকু বাইর কইরা কোপাইতে থাকে। আমি বাঁচাইতে গেলে আমারেও ছুরি মারে।’
শের আলী মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী সবুর উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসনাত কাকা প্রতিদিনই দোকান থেকে অনেক রাত কইরা বাড়ি ফেরে। গতকাল রাইত দেড়টার দিকে রিকশায় মোড়ে থামছে। তহন ২৪-২৫ বছরের ওই পোলার লগে নেতার কোনো সমস্যা হইছিল মনে হয়।
‘নেতা আমার কাছ থাইকা লাঠি নিয়া ওই পোলারে ভয় দেখাতে যায়। ওই সময় কিছু বুইঝা ওঠার আগেই ওই যুবক চাকু বের করে নেতারে এলোপাতাড়ি কোপাইতে থাকে।
তিনি জানান, হাসনাতের কাঁধ, পেট ও পিঠসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন সেই যুবক।এতে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান। ততক্ষণে অস্ত্রধারী যুবক পালিয়ে যান। পরে তিনি অটোরিকশায় করে স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতারে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’