বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তবুও দুর্ভোগে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২২ ১১:০৩

ফরিদপুর ভাঙার বাসিন্দা কামরুল হাসান রোববার সকালে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসেছেন। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার জন্য কোনো বাসে উঠতে পারছেন না। ভাঙা থেকে যেসব বাস এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সেতু পার হচ্ছে তার সবই দূরপাল্লার (চেয়ারকোচ)। এসব বাসে স্বল্প দূরত্বের কোনো যাত্রী তোলা হচ্ছে না। এদিকে লোকাল কোনো বাস সার্ভিসও নেই, এতে করে স্থানীয়রা পড়েছেন দুর্ভোগে।

পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিনে দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকামুখী দূরপাল্লার কোনো বাসে স্বল্প দূরত্বের যাত্রী না তোলায় দুর্ভোগে পড়েছেন ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

ফরিদপুর ভাঙার বাসিন্দা কামরুল হাসান রোববার সকালে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসেছেন। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার জন্য কোনো বাসে উঠতে পারছেন না। ভাঙা থেকে যেসব বাস এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সেতু পার হচ্ছে তার সবই দূরপাল্লার (চেয়ার কোচ)।

এসব বাসে স্বল্প দূরত্বের কোনো যাত্রী তোলা হচ্ছে না। এদিকে লোকাল কোনো বাস সার্ভিসও নেই। এতে করে স্থানীয়রা পড়েছেন দুর্ভোগে। ভিড় বেড়েছে জাজিরা টোল প্লাজায়। বাসে উঠতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

ফরিদপুর, মাদারীপুর থেকে অনেকে রোববার সকালে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় এসে ঢাকামুখী দূরপাল্লার কোনো বাসে উঠতে পারছেন না। এতে করে স্থানীয়রা পড়েছেন দুর্ভোগে। ছবি: নিউজবাংলা

রোববার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে টোল প্লাজায় ফি নিয়ে সেতুতে গাড়ি ছাড়া হয়। একের পর এক গাড়ি সেতু পার হয়। কিন্তু কোনো গাড়িতে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। শতাধিক মানুষের ভিড় জমে যায় টোল প্লাজার সামনে। এতে বিপাকে পড়েন টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা টেলিটেল কমিউনিকেশনের কর্মীরা। সড়ক থেকে এই ভিড় সরাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।

ঢাকার কোনো গাড়িতে উঠতে না পেরে হতাশ মাদারীপুরের শিবচরের বাসিন্দা শিমুল। সেতুতে গাড়ি চালুর পর ঢাকায় যেতে চেয়েও পারছেন না তিনি। শিমুল বলেন, ‘কোনো গাড়িই নিচ্ছে না। এখন যাব কীভাবে?’

শনিবার খুলনা থেকে এসেছেন শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল শেখ। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ফেরি বন্ধ থাকায় তিনি গতকাল পদ্মা পার হতে পারেননি। রোববার সকালে সেতু চালুর পর বাসে সেতু পার হতে পারবেন ভেবে জাজিরা টোল প্লাজায় এসেছেন তিনি। অন্য সবার মতো তারও একই অবস্থা। দাঁড়িয়ে আছেন বাসে ওঠার আশায়।

ভিড় সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা টেলিটেল কমিউনিকেশনের কর্মীরা। প্রতিষ্ঠানটির ইঞ্জিনিয়ার জিবুল আক্তার।

তিনি বলেন, ‘রাস্তায় দাঁড়ানো নিষেধ। এখন প্রচুর মানুষ আসছে বাসে ওঠার জন্য। কিন্তু আমাদের হাতে তো এর কিছুই নেই। তাদের সড়কের পাশ থেকে সরানোর চেষ্টা করছি।’

ভায়াডাক্টসহ ৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতুটির টোল আদায় কার্যক্রম দ্রুতগতি করতে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের দুটি টোল প্লাজায় বসানো হয়েছে সাতটি করে মোট ১৪টি গেট।

যান চলাচলে সেতুটি খুলে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই প্রান্তের ১৪টি টোল গেট চালু হয়ে গেছে। সব কটি গেটে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর টোল

গত ১৭ মে পদ্মা সেতুর টোল হার প্রকাশ করে সরকার। সে হিসাবে এই সেতু পাড়ি দিতে মোটরসাইকেলকে দিতে হবে ১০০ টাকা।

প্রাইভেট কার ও সাধারণ জিপে টোল ঠিক করা হয়েছে ৭৫০ টাকা। পিকআপ ও বিলাসবহুল জিপ পারাপারে টোল ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাইক্রোবাস পারাপারে সেতুর টোল ১ হাজার ৩০০ টাকা। ৩১ বা এর কম আসনের ছোট বাসের জন্য দিতে হবে ১ হাজার ৪০০ টাকা। মাঝারি বাসের টোল ২ হাজার টাকা। বড় বাসে ২ হাজার ৪০০ টাকা।

পাঁচ টনের ট্রাক এই সেতু পাড়ি দিলে গুনতে হবে ১ হাজার ৬০০ টাকা। পাঁচ টন থেকে আট টনের মাঝারি ট্রাকের জন্য দিতে হবে ২ হাজার ১০০ টাকা। আট টন থেকে ১১ টনের মাঝারি ট্রাকের টোল ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

থ্রি এক্সেলের ট্রাক পারাপারে টোল ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। মালবাহী ট্রেইলারের (চার এক্সেল) টোল ৬ হাজার টাকা। চার এক্সেলের ওপরে মালবাহী ট্রেইলারের জন্য প্রতি এক্সেলে দেড় হাজার টাকা যোগ হবে।

বর্তমানে ফেরিতে নদী পারাপারে যে হারে মাশুল দিতে হয়, সেতুতে তা দেড় গুণ বা আশপাশে বাড়ানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর