বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা-খুলনা রুটে বেড়েছে গণপরিবহন, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা

  •    
  • ২৬ জুন, ২০২২ ১০:৪৪

আজগর আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রথম দিনেই ঢাকা যাচ্ছি। আগে ঢাকায় যেতে ৭ ঘণ্টার মতো সময় লাগত। আজ হয়তো সাড়ে ৩ বা ৪ ঘণ্টা লাগবে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বড় পাওয়া।’

খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকাতে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজার হাজার মানুষ। মাওয়া ঘাটের সেই চিরচেনা ফেরি পারাপারের ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকা পৌঁছাবে খুলনার মানুষ।

কারণ স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে। শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন করেন।

জীবনে প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাত্রায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। এ ছাড়া ঢাকা-খুলনা রুটে পরিবহনের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খুলনার রয়েল মোড়ে রয়েছে ঢাকাগামী গণপরিবহনের প্রায় ২০টির বেশি কাউন্টার।

রোববার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে রাজধানীর উদ্দেশে।

এ সময় কথা হয় ইমাদ পরিবহনের রয়েল মোড় কাউন্টারের ম্যানেজার শরীফ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ২৩টি বাস ছেড়ে যায়। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু উপলক্ষে আরও ২টি বাস বাড়ানো হয়েছে। আগামী দুই দিন পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হবে। যাত্রী বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়াবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে প্রথম বাস খুলনা থেকে ছেড়ে গেছে। একই সময়ে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশে বাস ছেড়ে এসেছে। ঢাকা-খুলনা রুটে যাত্রীপ্রতি ভাড়া এসিতে ৭০০ টাকা ও নন-এসিতে ৬০০ টাকা।’

সোহাগ পরিবহনের রয়্যাল মোড় কাউন্টারের সহকারী ম্যানেজার মো. বুলবুল বলেন, ‘ঢাকা-খুলনা রুটে আগে আমাদের দুটি বাস চলাচল করত। এখন ১৫টি বাস বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে এসি বাস ৫টি ও নন-এসি রয়েছে ১০টি।’

তিনি জানান, রুটটিতে সিটপ্রতি ভাড়া এসি বাসে ১২০০ টাকা ও নন-এসি বাসে ৬০০ টাকা। রোববার সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে তাদের প্রথম নন-এসি বাস ছেড়ে গেছে। এ ছাড়া ৮টা ১৫ মিনিটে এসি বাস ছেড়ে গেছে। দুটি বাসের যাত্রীর সংখ্যা আগের থেকে তুলনামূলক বেশি বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।

রয়েল মোড় কাউন্টারে অন্তত ১০টি পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা-খুলনা রুটে সব পরিবহন ব্যবসায়ীই তাদের যানের সংখ্যা বাড়িয়েছে। এদিকে রোববার সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী প্রায় সব যাত্রীই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

আশরাফ উদ্দীন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ব্যাবসায়িক কাজে ঢাকা যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার শখ পূরণ হচ্ছে।’

আজগর আলী নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রথম দিনেই ঢাকা যাচ্ছি। আগে ঢাকায় যেতে ৭ ঘণ্টার মতো সময় লাগত। আজ হয়তো সাড়ে ৩ বা ৪ ঘণ্টা লাগবে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য বড় পাওয়া।’

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা বলেন, ‘খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী নন-এসি বাসের ভাড়া সবাই মোটামুটি বিআরটিসির ভাড়ার কাছাকাছি রেখেছে। তবে এসি বাসের ভাড়া সরকার নির্ধারণ করে দেয় না, এটা বাসমালিকরা নির্ধারণ করেন। আমরা বাসমালিকদের জানিয়েছি, কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া না আদায় করে।’

পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের ১২ রুটের যাত্রীবাহী বাসসহ যানগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মাওয়া হয়ে খুলনার দূরত্ব ২০৭ কিলোমিটার হওয়ায় এ রুটে ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৩৭ টাকা। তবে কাউন্টারগুলো নন-এসি বাসে ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৬০০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া নিচ্ছে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে।

এ বিভাগের আরো খবর