দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে দেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যান চলাচলে সেতুর দুই দ্বার খুলের দেয়ার সময় সেতু এলাকায় বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেলে দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। জীবনে প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে কালের সাক্ষী হওয়ার সুপ্ত বাসনা নিয়ে আগের দিন রাত থেকেও অনেকে অপেক্ষা করেন। অনেকেই শখের বশে পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য এসেছেন।
সেতুর মাওয়া টোল এলাকায় মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। ছবি: নিউজবাংলা
রোববার সকালে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ৫টি কাউন্টারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জটের প্রভাব পড়ে টোল এলাকাজুড়ে। একই অবস্থা শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তেও।
সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে যানবাহন পারাপারের জন্য পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা খুলে দেয়া হয়। প্রথম দিকেই মোটরসাইকেলের চাপ ছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে বাস, মিনিবাস ও প্রাইভেট কারের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং সেতু এলাকাজুড়ে দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। তবে পদ্মা সেতু পার হওয়া এবং দেখার জন্যই উৎসুক জনতার সংখ্যাটাই বেশি।’
মাওয়া টোল প্লাজা থেকে জানা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থেকে আশা মোটরসাইকেল আরোহী আনোয়ার হোসেন ঢাকা মেট্রো হ ৬০-৬০৩৯ সিরিয়ালের বাইক নিয়ে প্রথম টোল প্লাজা পার হন। প্রথম ট্রাক, ঢাকা মেট্রো ট-১৮-৭২২২, প্রথম প্রাইভেট কার ঢাকা মেট্রো গ২৮-০৯৮৬ ও প্রথম বাস ঢাকা মেট্রো হ ১৫-৪৬২৪।