ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পানি খাওয়ার অজুহাতে প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীর হাত-মুখ বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে সৌদি প্রবাসী আব্দুল কাদের মোল্লার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
চরভদ্রাসন থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রবাসীর স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী রেহেনা পারভীন ময়না বলেন, ‘বিকালে বাড়িতে আমি একা ছিলাম। ছেলে মুস্তাকিম ও মেয়ে নুসরাত পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। আমার শাশুড়ি ছেলে-মেয়েদের আনতে গিয়েছিল। এই সময় অচেনা এক ব্যক্তি বাড়িতে এসে আমার শাশুড়ির খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে নেই জানতে পেরে ওই ব্যক্তি আমার কাছে পানি খেতে চায়।
‘আমি উঠান থেকে ঘরে পানি আনতে রওনা হলে পেছন থেকে চুল ধরে আমাকে মাটিতে ফেলে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে নিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং মারধর করে। এ সময় বাড়ির বাইরে থেকে আরেক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে ঘরের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে চলে যায়।’
ময়না জানান, প্রায় আধ ঘণ্টা পর অনেক কষ্টে ঘরের টিনের বেড়ায় আঘাত করতে থাকলে খালেদা নামে প্রতিবেশী আরেক গৃহবধূ তাকে উদ্ধার করতে আসেন।
প্রতিবেশি খালেদা বলেন, ‘ময়নার ঘর থেকে টিনের বেড়ায় ধুম ধুম শব্দ হচ্ছিল। প্রথমে আমি বুঝিনি। অনেকক্ষণ ধরে শব্দ হতে থাকলে আমি ময়নার ঘরের দিকে যাই। তখন দরজা খোলা ছিল। ভেতরে ঢুকে আমি তাকে বাঁধা অবস্থায় দেখে চিৎকার দেই। আমার চিৎকারে অন্যরা ময়নাকে উদ্ধার করে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
ময়না জানান, তার শরীরে থাকা এক জোড়া কানের দুল, একটি চেইন, আলমারিতে থাকা তার শাশুড়ির হাতের বালাসহ চার ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত।
খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা কবির ত্রপা ও চরভদ্রাসন থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম ভুক্তভোগির বাড়িতে যান।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি জিয়ারুল।