যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
আহত নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আইকিউএসি আয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছিলাম। প্রশিক্ষণ চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে আজিজ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক ছাত্র আমাকে ডেকে নেন। ড. ইকবাল কবীর জাহিদ স্যার আমাকে ডাকছেন বলে জানান। আমি রুমের বাইরে বের হলে জাহিদ স্যার অ্যাকাডেমিক ভবনের পশ্চিম পাশে সিঁড়ির নিচে ডেকে নিয়ে যান। তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমার কানে থাপ্পড় মারেন। এরপর আজিজ আমাকে চড়থাপ্পড় মেরে লাঞ্ছিত করেন। তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন।’
বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ে জেনারেটর সরবরাহ করেছে। তাদের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিটি বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। সেই টাকা আজিজকে দিতে বলেছিলেন জাহিদ স্যার। একাধিকবার তিনি আমাকে টাকা দিতে বলেন। আমি যথাযথ প্রক্রিয়া (কাগজপত্র) ছাড়া টাকা দিতে পারব না জানালে তারা আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।’
অভিযোগের বিষয়ে ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, ‘প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের অভিযোগ সঠিক নয়। মিজানুর ও আজিজের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে আমি থামাতে চেষ্টা করি। আমি তাকে মারপিট করিনি।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যালারির সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে দুর্নীতির বিষয়ে আমি একটি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছিলাম। সেখানে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তার পরও তিনি তদন্ত রিপোর্টের জন্য আমার ওপর ক্ষুব্ধ। এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন।’