উদ্বোধনের পর হেঁটে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার জন্য ঢাকা থেকে জাজিরা প্রান্তে এসেছেন রায়হান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের টোলপ্লাজা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। বহু প্রতীক্ষার পর একটু পরেই পা রাখবেন সেতুতে। তবে তার আগেই পুলিশ এসে আটকে দিল তাকে। জানতে পারলেন আর এগোনো যাবে না।
সেতুর এত কাছাকাছি এসে কোনোমতেই ফিরে যেতে চান না তিনি। পুলিশকে অনুরোধ করেন স্বপ্নের সেতুতে পাড়ি দেয়ার অনুমতির জন্য। তাতে কাজ না হওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তার ধারে।
নিউজবাংলা প্রতিবেদককে দেখে রায়হান বলেন, ‘আমাদের একটা আশা, পায়ে হাঁইটা ব্রিজে চলাচল করব। আমাদের এক ঘণ্টার জন্য খুলে দিলে আমরা খুশি হইতাম।’
হেঁটে সেতু পার হওয়া নিষেধ জানালে এই যুবক বলেন, ‘ওবায়দুল ভাইরে কন, এক ঘণ্টার জন্য ব্রিজ খুইলা দিতে। আমরা বৃষ্টিতে ভিইজা ঢাকা থেকে আইছি। হাঁইটা সেতু পার হইতে চাই।’
এ সময় পাশে থাকা আরেকজন বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা সারা রাত এখানে থাকব, সকালে সেতু দিয়ে ঢাকা যাব।’
জাজিরার টোলপ্লাজাসংলগ্ন নাউডোবার তরুণ সরোয়ার। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গিয়েছিলেন। এখন বসে আছেন টোলপ্লাজার কাছে। তার আশা হেঁটে সেতু পাড়ি দেয়া।
সরোয়ার বলেন, ‘সমাবেশতে আইছি, আশা আছিল সেতুতে উঠমু, হাঁইটা পার হমু। আজকে সেতুতে হাঁটতে না দিলে তো আর কখনও সুযোগ পামু না।’
পুলিশ ও সেনাবাহিনী কয়েক দফা তাকে সরিয়ে দিলেও এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন না সরোয়ার, আশা যদি সেতুতে হাঁটার অনুমতি মেলে।
এদিকে রোববার ভোরের আগে কাউকে সেতুতে উঠতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সেতুতে ওঠার জন্য গতকাল থেকেই প্রচুর মানুষ আসছে। আজকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু আমরা কাউকে সেতুতে উঠতে দিচ্ছি না। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত আছেন। আগামীকাল ভোরে সেতুটি খুলে দেয়া হবে। এর আগে কেউ যেতে পারবে না।’