বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে খুলনায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২২ ১৬:০৭

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে খুলনা শহর ও স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকা রঙিন পতাকা, ব্যানার, ফেস্টু ন দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়। সরকারি-বেসরকারি ভবনে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়।

সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ও জনগণের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে খুলনায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন হয়েছে।

এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় সরাসরি দেখানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে খুলনায় নানা রঙের বেলুন উড়িয়ে মুহূর্তটি উদযাপন করা হয়।

খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি ড. মহিদ উদ্দিন, কেডিএর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে খুলনা শহর ও স্টেডিয়ামসংলগ্ন এলাকা রঙিন পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়। সরকারি-বেসরকারি ভবনে বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়।

বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে ও স্থানীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা রেলওয়ে স্টেশন এবং ডাক অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে এলইডি স্ক্রিনে পদ্মা সেতুকে উপজীব্য করে নির্মিত বিশেষ ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এর আগে সকাল ৯টায় খুলনা মহানগর পুলিশের উদ্যোগে নগরীর শিববাড়ী মোড় থেকে হাদিস পার্ক পর্যন্ত র‌্যালি হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

মেয়র বলেন, ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। তার সততা, দক্ষতা ও দৃঢ়তার কারণে আজকে এই পদ্মা সেতু আমরা পেয়েছি।

‘আমি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। কারণ তারই একক প্রচেষ্টায় এই সেতু নির্মাণ হয়েছে।’

মেয়র বলেন, ‘যখন বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের চুক্তি ভঙ্গ করে দুর্নীতির অভিযোগ ছুড়ে দিল। তার ১০ দিন পর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন এই পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব টাকায় নির্মাণ করা হবে। তখন আমাদের দেশের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞসহ অনেকে জল্পনা-কল্পনা করেছিলেন এটা কী করে সম্ভব। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা কারও কাছ থেকে টাকা নেব না। নিজস্ব টাকায় এই পদ্মা সেতু করব।

‘এখন রাজধানীর সঙ্গে আমরা যুক্ত হব। যে দিনের জন্য আমরা এতদিন অপেক্ষা করছিলাম। সেই দিন এখন প্রধানমন্ত্রীর জন্য সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, তারই কন্যা স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আরেকটা ঐতিহাসিক উপহার দিলেন।’

খুলনার জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের বিজয়ের প্রতীক। উন্নয়ন, ঘুরে দাঁড়ানো ও হার না মানার প্রতীক। পদ্মা সেতু নির্মাণের অনন্য ইতিহাস ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাহেন্দ্রক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সেতু চালু হওয়া দক্ষিণাঞ্চলে নতুন সম্ভাবনা শুরু হলো।’

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সব বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেই পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টিমুখ

পদ্মা সেতুর ঐতিহাসিক উদ্বোধন অনুষ্ঠান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরই উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।

এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার দৃঢ় ও দূরদর্শী ভূমিকার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, ‘পদ্মা সেতু সব ক্ষেত্রে আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। যেকোনো কাজে চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সে উদাহরণ পদ্মা সেতু থেকে নেয়া যায়। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, মনোবলের প্রতীক। এই সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটাবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন হলো। পদ্মা সেতু বিনিয়োগ বাড়াবে, শিল্পায়ন বাড়াবে, অর্থনীতিকে গতিশীল করবে। ফলে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে।

‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপরও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা। আমরা সবাই যদি এক হয়ে কাজ করি, তাহলে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের বাস্তব রূপ এখন পদ্মা সেতু। সারা বিশ্ব এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর