বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সাহসী’ প্রধানমন্ত্রীকে জাফরুল্লাহর ধন্যবাদ

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২২ ১৫:৪৬

‘আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। …উনি অনেক বড় কাজ করেছেন, সাহসী কাজ করেছেন। ওনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করলেন তার কট্টর সমালোচক জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সাহসী বলেছেন তিনি, এটাও বলেছেন, ভালো কাজ করছেন আওয়ামী লীগপ্রধান।

শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে যারা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। তাকে সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উড়িয়ে নেয়া হয় হেলিকপ্টারে উড়িয়ে।

লুঙ্গি পরা জাফরুল্লাহ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি জানান তার প্রতিক্রিয়া।

পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। …উনি অনেক বড় কাজ করেছেন, সাহসী কাজ করেছেন। ওনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

তবে এই সেতুর কৃতিত্ব পুরো প্রধানমন্ত্রীকে না দিতে গণমাধ্যমকর্মীদের পরামর্শ দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। বলেন, ‘আপনারা এভাবে মানুষকে ভুল বোঝাইয়েন না। কোনো কিছু এক ব্যক্তির দ্বারা হয় না। উনি অন্যের কথা শুনেছেন, চিন্তা করেছেন। উনি সমালোচনাকেও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। আমরা বলেছি, হিসাব দেন। উনি হিসাব দিচ্ছেন।’

‘অনির্দিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া’ উড়ো অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগ তোলার পর ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক। পরে তাদের দেখাদেখি চলে যায় এডিবি, আইডিবি ও জাইকাও।

শুরু থেকেই দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগকে বানোয়াট উল্লেখ করা প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে নিজ অর্থে সেতু করার ঘোষণা দেয়ার পর তার সেই পরিকল্পনা আদৌ বাস্তবায়নযোগ্য কি না, তা নিয়ে কথা ওঠে। তবে সব সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে সেতু এখন ঠাঁই দাঁড়িয়ে এবং এখন শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে।

সেতুর কাজ চলার মধ্যে ২০১৭ সালে কানাডায় এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ‘বায়বীয়’ ও ‘গালগপ্প’ আখ্যা দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেই সব ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বলেছেন, এই সেতু নির্মাণে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বরং ষড়যন্ত্রের কারণে দুই বছর পিছিয়ে পড়তে হয়েছে তাকে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর পার্সি টেম্বনও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, তারা এখন সামনের দিকে তাকিয়ে।

পদ্মা সেতু স্বচোখে দেখতে পেরে আপ্লুত ও গর্বিত বলেও জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দঘন অনুভূতি এটা। একাত্তরেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজকে পদ্মা সেতু নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। এটি আমার জীবনের বড় একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে। ‘আমি জাতির উল্লেখযোগ্য ঘটনারগুলোর মধ্যে একটাতে অনুপস্থিত ছিলাম, সেটি ৭ মার্চের ভাষণ। এ ছাড়া জাতির সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় আমি ছিলাম।’

অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি করার অনুরোধপদ্মা সেতুতে পার হতে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টোল ফ্রি করার অনুরোধও করেন জাফরুল্লাহ।

বলেন, ‘আজকে আমাদের স্বপ্ন, আমাদের যোগসূত্র, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি, সে জন্য আমরা আনন্দিত। তবে ওনার কাছে আমার একটিই আবেদন- এই পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের যেন টোল ফ্রি থাকে, আর বিদেশিদের জন্য ডবল ট্যাক্সের ব্যবস্থা থাকে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেশের গণতন্ত্রের দিকে নজর দিতে হবে।’জাফরুল্লাহ বলেন, ‘তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আরও মহানুভব হতে অনুরোধ করছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দিতে হবে। উনি অনেক ভালো কাজ করেছেন। এখন ওনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

‘আমি চাই তিনি যেন একটা খোলা জিপে করে পদ্মা সেতু পার হন। সঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ তিনজন মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন।’

‘বিএনপি নিয়ে বলতে পারব না’সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দেয়া নিয়েও এক প্রশ্নে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আমাকে দাওয়াত দিয়েছে সে জন্য আমি খুশি। আমি মনে করি খালেদা জিয়াকে আজকে দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল। তাকে জামিন দিয়ে..., এখানে তার আসা উচিত ছিল। ভালো কাজের প্রশংসা করি, করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর