বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘুচল পদ্মার বাধা, ঢাকার সঙ্গে সড়কে যুক্ত দক্ষিণ

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২২ ১৪:০১

বর্ণিল আয়োজনে উন্মুক্ত হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে বোতাম চেপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে খুলে গেল রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সরাসরি সড়কপথ।

শেষ হলো প্রতীক্ষার পালা। উদ্বোধন হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বর্ণিল উৎসব আর বাতাসে রঙিন আবীর ছিটানোসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের অপেক্ষা।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে বোতাম চেপে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলক উন্মোচন শেষে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দেন তিনিসহ উপস্থিত অতিথিরা।

এর আগে সুধী সমাবেশ শেষে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। সমাবেশ শেষে বেলা ১১টার দিকে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করার পর পদ্মা সেতু নির্মাণসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন তিনি।

সমাবেশে আবেগাপ্লুত দেখা যায় শেখ হাসিনাকে। তিনি সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুটও জানান।

তিনি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা আবৃত্তি করেন। বলেন, ‘জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।…আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।’

ওই সময় ষড়যন্ত্রকারীদের শুভবুদ্ধি ও দেশপ্রেমের উদয় হওয়ার আশা প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। সে শক্তিতে বলীয়ান হয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অনেকের মতামত ছিল, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু কীভাবে নির্মাণ করা যাবে, কিন্তু জাতির পিতা বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে শিখিয়েছেন। সে জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্মাণকাজ শুরু করে সেতু করে দেখিয়েছে।’

এরপর পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন পদ্মা সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রকল্পের ব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্টরা তার হাতে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা তুলে দেন।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে স্মারক নোট ও ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন সরকারপ্রধান।

অনুষ্ঠান শেষে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় টোল দেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

টোল দেয়া শেষে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী চত্বরে যান। পরে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে জাজিরা পয়েন্টের দিকে যান। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেতুর আরেক ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান।

সেতুতে গাড়িবহর চলে ধীরে ধীরে। ১৫ নম্বর পিলারের ওপর থামে বহরটি। তারপর সেখানে বর্ণিল ধোঁয়া ছেড়ে সেতুর দিকে ছুটে যায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান মিগ-২৯-সহ আরও কয়েকটি বিমান। বিমানগুলোর স্মোকে পদ্মার আকাশ বর্ণিল হয়ে ওঠে।

জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত হেলিকপ্টার এগিয়ে আসে সেতুর দিকে। প্রধানমন্ত্রী সেতুর ওপর যেখানে দাঁড়িয়েছেন সেখানে গিয়ে স্থির হয় হেলিকপ্টারগুলো। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।

প্রায় ১৫ মিনিট সেখানে অবস্থানের পর গাড়িবহর আবার ছুটে যায় জাজিরা প্রান্তের দিকে। সেখানে পৌঁছে পদ্মা সেতুর আরেকটি উদ্বোধনী ‘পিতা ও কন্যা থিমের’ ম্যুরাল-২’ ও ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরীসহ অতিথিরা।

এরপর কাঁঠালবাড়ীর ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগের জনসভায় দলপ্রধান হিসেবে যোগ দেন শেখ হাসিনা।

রোববার ভোর ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতু। ফুরাবে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনা, বাঁচবে সময়। বদলে যাবে দৃশ্যপট, আরও সচল হবে দেশের অর্থনীতির চাকা।

এ বিভাগের আরো খবর