বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোট সে তরি...

  •    
  • ২৫ জুন, ২০২২ ১২:৩৭

আল-আমীন বলেন, ‘আমরা খুব ভোরে বাগেরহাট থেকে রওনা দিই। গাড়ির ভেতর জায়গা না পেয়ে আমরা কয়েকজন যুবক গাড়ির ছাদে করে আসছি। কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে এলেও মনে আনন্দের কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেতু দিচ্ছেন, সেখানে একটু ঝুঁকি আর কষ্ট তো মেনে নিতেই হয়। আমরা আনন্দের সঙ্গে এসেছি।’

গাড়ি ও লঞ্চ কোথাও জায়গা নেই। যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই জনসভায় আসছেন। উদ্দেশ্য পদ্মা সেতুর উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনা। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছেন।শনিবার দুপুর ১২টার একটু আগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি মাদারীপুরে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় জনসভায় যোগ দেবেন। এই জনসভায় যোগ দিতে ঢল নেমেছে মানুষের।সমাবেশ সফল করতে শনিবার ভোর থেকেই জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে দেখা গেছে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও বাঁশি। বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে-গেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাদের।চাপ সামাল দিতে ছোট-বড় পরিবহনগুলোকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের কাঁঠালবাড়ী স্ট্যান্ড থেকেই ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে সেখান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে সভাস্থলে পৌঁছাতে হচ্ছে নেতাকর্মীদের।তাদেরই একজন বাগেরহাটের যুবক আল-আমীন। তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভোরে বাগেরহাট থেকে রওনা দিই। গাড়ির ভেতর জায়গা না পেয়ে আমরা কয়েকজন যুবক গাড়ির ছাদে করে আসছি। ‘কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে এলেও মনে আনন্দের কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সেতু দিচ্ছেন, সেখানে একটু ঝুঁকি আর কষ্ট তো মেনেই নিতে হয়। আমরা আনন্দের সঙ্গে এসেছি।’লঞ্চে বরিশাল থেকে আসা আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ফজরের পর লঞ্চে উঠেছি। ৯টার মধ্যেই ঘাটে এসেছি। আমাদের লঞ্চে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার লোক এসেছে। কোথাও জায়গা খালি নাই। লোক আর লোক।

‘এত লোক যে আসবে, তা ভাবতে পারিনি। আজকের মতো আনন্দ আর পাইনি কোনো দিন। আমাদের ঈদের মতো লাগছে। আমাদের নেতা হাসানাত আব্দুল্লাহর নির্দেশে এক কালারের গেঞ্জি পরে আসছি। সবার মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।’ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে সভামঞ্চ।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূল মঞ্চের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্তত ছয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুলিশের অন্তত ১৫ হাজার কর্মী সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এ ছাড়া র‍্যাবের দুই হাজারসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ হাজার প্রশাসনের কর্মী মাঠে রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর