মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে মেদিনীমণ্ডল এলাকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মূল পয়েন্ট থেকে অনেক দূরেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মহাসড়ক এবং লৌহজংয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট পুলিশ বেষ্টনী।
এত নিরাপত্তার মধ্যে তাই পদ্মা সেতুকে কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা খানিকটা ম্লান হতে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীদের। কেউ কেউ আবার হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে।
ময়মনসিংহের শেরপুর থেকে আসা আবুল কালাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখতে এসেছি। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকেও একনজর দেখার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার আগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ। যেতে দিচ্ছে না সামনে।
‘দূর থেকে পদ্মা সেতু দেখে চোখের ক্ষুধা খানিকটা মিটলেও মনের ক্ষুধা মেটেনি।’
হাসাড়া থেকে আসা মইন হোসেন বলেন, ‘অনেক দূর ঘুরে এখানে আসতে হয়েছে পদ্মা সেতু দেখতে। কিন্তু দূর থেকে দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে। কাছ থেকে উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখার ইচ্ছা ছিল।’
ঢাকা সাভার থেকে আসা হোসেন আলী জানান, বাইপাস হয়ে ঘুরে আসতে হয়েছে এখানে। যানবাহনে আসতে গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এত টাকা খরচ করে এসেও তো কোনো লাভ হলো না। প্রধানমন্ত্রীকে দেখা তো দূরের কথা, রাস্তায় অনেক আগেই নামিয়ে দেয়া হয়েছে গাড়ি থেকে। এখন দূর থেকে সেতু দেখছি।’
শুধু আবুল কালাম, মইন হোসেন ও হোসেন আলী নন, তাদের মতো অনেক মানুষ পদ্মা পারে গিয়ে সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠান না দেখতে পাওয়ার হতাশায় পুড়তে দেখা গেছে।