নাম জাফরুল হাসান। পেশায় ডিপ্লোমা চিকিৎসক। কিন্তু তার চেহারার সঙ্গে অনেক মিল মোহাম্মদ তামিম নামে এক চিকিৎসকের। তাই ডা. তামিমের নাম ব্যবহার করেই হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর শহরের এম কে ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে আসছিলেন জাফরুল।
বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত জাফরুলকে আটক করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে প্রতারণার কথা স্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করার জন্য চুনারুঘাট থানায় তাকে হস্তান্তর করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম প্রিয়া।
আদালত সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বাসিন্দা জাফরুল হাসান টাঙ্গাইলের প্রফেসর সোহরাব উদ্দিন আইএমটি অ্যান্ড ম্যাটস থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। কিন্তু চুনারুঘাটে এসে তিনি নিজেকে ডা. তামিম পরিচয় দিতেন এবং বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার অ-৮৮০০২ ব্যবহার করে রোগী দেখে আসছিলেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. উমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত আনজুম প্রিয়া জানান, জাফরুল কোনোভাবে ডা. তামিমের কাগজপত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। তামিমের বাড়ি নওঁগা জেলায় এবং তিনি বিষয়টি জানতেন না। তবে দুজনের চেহারায় মিল রয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতে কোনো জরিমানা বা কারাদণ্ড না দিয়ে নিয়মিত মামলার জন্য চুনারুঘাট থানায় ভুয়া ডাক্তার জাফরুলকে প্রেরণ করা হয়েছে।’