বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেতু অভিমুখে পটুয়াখালীর ৮ লঞ্চে পিকনিক মুড

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২২ ২২:৫২

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘একটি আনন্দঘন পরিবেশে পিকনিকের পরিবেশ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা রাত্রিযাপন করে সকালে জনসভা স্থলে হাজির হবো।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পরবর্তী জনসভায় যোগ দিতে পটুয়াখালী থেকে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৩০ হাজার বেশি মানুষ রওনা হয়েছে। এর মধ্যে বিকাল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দোতলা ও তিনতলা বিশিষ্ট ৮টি যাত্রীবাহী লঞ্চে যাচ্ছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

বাকিরা সড়কপথে বাসসহ অন্যান্য পরিবহনে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন।

বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, লঞ্চে পদ্মা সেতুর উদ্দেশ্যে যারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে পিকনিকের আমেজ বিরাজ করছে। উচ্চ শব্দে ডিজেসহ বাউল শিল্পীদের গান বাজনায় সবার মধ্যে আনন্দ ঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

একটি লঞ্চে অবস্থান করছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. সোহেল। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণের আশির্বাদ। আবেগ অনুভূতি আর বিশ্বাসের প্রতীক। সেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের স্বাক্ষী হিসাবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমরা জেলা যুবলীগ লঞ্চযোগে রওনা হয়েছি। এটি আলাদা এক অনুভূতি। লঞ্চে আমরা সাধারণত ঢাকা পটুয়াখালী যাতায়াত করি। কিন্তু আজকের যাত্রাটা ভিন্ন। সবার মধ্যে পিকনক পিকনিক ভাব বিরাজ করছে। নাচ গানে মাতোয়ারা সবাই।’

জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, ‘সমাবেশে যাচ্ছি মনেই হচ্ছে না। সবার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত পুরো লঞ্চ। পাশ দিয়ে যে লঞ্চ যাচ্ছে তারও একই অবস্থা। মনে হচ্ছে, আমরা কোনো পিকনিকে আছি। আশা করি, এভাবেই হাসি খুশিতে মেতে থাকবে সবাই।’

বাউল শিল্পী বশির সরকার জানান, বিভিন্ন স্থানে তিনি ভাড়ায় গান গাইতে যান। কিন্তু পদ্মা সেতু অভিমুখে যাত্রা করা একটি লঞ্চে তিনি ফ্রিতেই গান গাইছেন। তার দলের মোট ৬ সদস্যের সবাই অন্যরকম এক আনন্দ নিয়ে গান গাইছেন, বাদ্য বাজাচ্ছেন।

বশির সরকার বলেন, ‘গানের তালে সবাই নেচে নেচে উল্লাস প্রকাশ করছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলগমীর হোসেন বলেন, ‘ইতিহাসের স্বাক্ষী হিসাবে আমরা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ কালকের সমাবেশে যোগ দিতে রওনা হয়েছি। ইতোমধ্যে ৮টি উপজেলার বিভিন্ন স্টেশন থেকে ৮টি লঞ্চ পদ্মা পাড়ের উদ্দেশে ছেড়ে এসেছে। প্রতিটি লঞ্চে অবস্থানরত সবার জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইনসহ প্রচুর পরিমাণে শুকনো খাবারও আমরা মজুদ রেখেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে কারো যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে সিনিয়ররা নজর রাখছেন। এ ছাড়া কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, সেজন্য মূল সংগঠন ছাড়াও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া আছে।

কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘একটি আনন্দঘন পরিবেশে পিকনিকের পরিবেশ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা রাত্রিযাপন করে সকালে জনসভা স্থলে হাজির হবো।’

এ বিভাগের আরো খবর