ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণাসহ উত্তরপূর্ব এলাকার জনপদ। অত্যধিক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সেখানে অন্তত ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বেশিরভাগ এলাকা, দেখা দেয় খাদ্য সংকট, মানবেতর জীবনযাপন করছে পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ।
উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ বিতরণ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিবন্দি হয়ে সেখানে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন কাটাতে হচ্ছে শিশু-বৃদ্ধদের।
তাদের খাবারসহ স্বাস্থ্যব্যবস্থা এখন স্বাভাবিক রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। দেখা দিয়েছে শিশুখাদ্য সংকট। এমন অবস্থায় শিশুখাদ্য নিয়ে ত্রাণ কাজে এগিয়ে এসেছে গ্লোবাল টেকনোলজি লিডার শাওমি।
প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সিলেটসহ বন্যাদুর্গত উত্তরপূর্বাঞ্চলে ত্রাণ বিতর করছে, বিশেষ করে শিশুখাদ্য সংকট নিরসনে এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
শিশুদের জন্য সঠিক পুষ্টিমানসম্পন্ন শুকনো খাবার তুলে দিয়েছে শাওমি বাংলাদেশ। সিলেট সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হামিদুল হকের হাতে খাবারগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। যা শুক্রবার সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি নেত্রকোণা এলাকাতেও ত্রাণ বিতরণ করেছে শাওমি।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বন্যায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে আমাদের সবার এক হওয়াটাও অতীব জরুরি। বন্যাউপদ্রুত এলাকায়, বিশেষ করে শিশুদের খাদ্যসংকট কাটানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাওমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই জরুরি পরিস্থিতিতে আমরা চেষ্টা করছি সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে। মানুষের এমন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সবাইকে এক হওয়া দরকার। বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় আমাদের একতা এবং আন্তরিকতা খুব বেশি প্রয়োজন।’
প্রতিকূল সময়ই এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম সময়। শাওমি পরিবারের সবাইকে সাধ্যমত বন্যাদুর্গতদের জন্য সহায়তায় এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন শাওমির এই কর্মকর্তা।