বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তিন দশকে হাওরে পানি ধারণক্ষমতা ৮৭ শতাংশ কমেছে

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২২ ২১:০৯

‘হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মধ্যে ১৯৮৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে শুষ্ক মৌসুমের জলাভূমির পরিমাণ সিলেটে ৭৫ শতাংশ, সুনামগঞ্জে প্রায় ৮০, নেত্রকোণায় প্রায় ৯০, কিশোরগঞ্জে প্রায় ৮৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭০, হবিগঞ্জে প্রায় ৯০ ও মৌলভীবাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে।’

১৯৮৮ সাল থেকে হাওর এলাকায় পানি ধারণক্ষমতা ৮৭ শতাংশ কমে যাওয়ায় এবার সিলেট এলাকায় বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে উঠে এসেছে একটি গবেষণা প্রতিবেদনে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আয়োজনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘হাওর এলাকার ভূমি ব্যবহারের কয়েক দশকের পরিবর্তন ও এবারের বন্যার ব্যাপকতা’ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয় এতে। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- আইপিডি ছিল এর আয়োজক।

সংলাপে গবেষণার সারাংশ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী বছরগুলো থেকে বর্তমানে বন্যার ভয়াবহতা আরও বেশি হওয়ার কারণ অতিবৃষ্টি ও নদী-নালার নাব্য সংকটের পাশাপাশি জলাভূমির ভরাট করে বাড়িঘর ও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ।’

তিনি জানান, হাওর এলাকার জলাভূমি ১৯৮৮ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ কমে যায় এবং ২০০৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও ৩৭ শতাংশ কমে গিয়ে এখন প্রায় ১৩ শতাংশ এলাকা অবশিষ্ট আছে।

এর বিপরীতে হাওর এলাকায় নির্মিত এলাকা (বিল্ট আপ এরিয়া) ২০০৬ সালে ২ দশমিক ২ গুণ ও ২০২০ সালে ৩ দশমিক ৮ গুণ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি হাওর এলাকায় পতিত জমি, কৃষিজমি ও বনজ এলাকাও কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে।

তিনি বলেন, ‘হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মধ্যে ১৯৮৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে শুষ্ক মৌসুমের জলাভূমির পরিমাণ সিলেটে ৭৫ শতাংশ, সুনামগঞ্জে প্রায় ৮০, নেত্রকোণায় প্রায় ৯০, কিশোরগঞ্জে প্রায় ৮৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭০, হবিগঞ্জে প্রায় ৯০ ও মৌলভীবাজারে প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে।’

পরিকল্পনাবিদ ইনজামাম উল হক রিফাত বলেন, ‘হাওর এলাকার জলাভূমির আশঙ্কাজনক পরিবর্তন এখনই রোধ না করা গেলে এই এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কা আরও ব্যাপকতর হবে।’

আইপিডির পরিচালক ও পরিকল্পনাবিদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের বন্যার জন্য দায়ী আন্তদেশীয় নদীর অতিরিক্ত পানির প্রবল চাপ, পলি জমাটের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা সংকট ও নদী-জলাশয়ের পানি ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া। আমাদের উৎকণ্ঠার জায়গা, হাওর এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম টেকসই হচ্ছে কি না।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদুর রেজা বলেন, ‘এবারের বন্যার কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বোচ্চ কতটুকু বৃষ্টি হতে পারে তার একটা সম্ভাব্য প্রজেকশন ও হাওর এলাকার পানি ধারণ করার সক্ষমতা জানা থাকলে এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্যোগ মোকাবিলা করা আমাদের জন্য সহজতর হবে।

‘হাওর এরিয়ার জন্য সেখানে কতটুকু রোড দরকার, ডিমান্ড অ্যানালাইসিস এবং ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে ইন্টিগ্রেটেড পদ্ধতিতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার জীবন-মানের উন্নয়ন সম্ভব।’

এ বিভাগের আরো খবর