পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যেমন জনবল লাগবে, তেমনি লাগবে বিদ্যুৎ। শুধু রাতের বেলায় সেতু আলোকিত করার জন্যই নয়, এর নানান ব্যবস্থাপনার জন্যও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের প্রয়োজন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সব মিলিয়ে এই সেতুর জন্য প্রতিদিন ২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে।
পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিন থেকেই ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট জ্বলবে রাতে। কিছুদিন পর বসানো হবে আর্কিটেকচারাল লাইট। জাতীয় দিবস, ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন উপলক্ষে নানান থিম অনুযায়ী জ্বলবে এসব লাইট। পিলারের পানির অংশ থেকে রোডওয়ে স্লাব পর্যন্ত সেতু ও ভায়াডাক্টে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এসব লাইট জ্বালানো হবে। এ ছাড়া সেতুর আর্দ্রতা ঠিক রাখার জন্যও বিদ্যুতের ব্যবহার হবে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেতুর জন্য সব মিলিয়ে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে। এর মধ্যে ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের জন্যই লাগবে ৮০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ।’
তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পরেই ব্রিজে আর্কিটেকচারাল লাইটিং সংযোগের কাজ শুরু হবে। সেটা চালু হলে বিদ্যুতের চাহিদা আরও বাড়বে। এ ছাড়া নেভিগেশন লাইট, অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের জন্যও বিদ্যুৎ প্রয়োজন।’
দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, ‘সেতুর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে রক্ষণাবেক্ষণের ওপর। আর এই রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। এই মেগা প্রকল্পের প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনেক বিদ্যুতের ব্যবহার রয়েছে।
‘যেমন সেতুতে মাঝে মাঝে গ্যান্ট্রি ক্রেনের ব্যবহার করতে হবে, যেখানে বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেতুর দুই পাশে মেইনটেন্যান্স ভবন থাকবে, দুই পাশে টোলপ্লাজা থাকবে- এসব তো বিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এ ছাড়া আরও অনেক ছোটখাটো কাজ আছে যেখানে বিদ্যুতের ব্যবহার হবে।
‘এসব কিছু মিলেই আমরা ধারণা করছি, এই সেতু পরিচালনা করতে ২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে।’