রাজধানীর বংশাল ও রামপুরায় পৃথক ঘটনায় দুজনের আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারা হলেন বংশালের গৃহবধূ ৪০ বছরের সালমা বেগম ও ১৪ বছরের গৃহকর্মী সোনিয়া আক্তার।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ও রাত ১টার দিকে ঘটনাগুলো ঘটে।
অচেতন অবস্থায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত আড়াইটার দিকে সালমা ও সোনিয়াকে রাত সোয়া ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সালমার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদরের নারাপাছা গ্রামে। বর্তমানে বংশালের নিমতলীর নবাব কাটারা এলাকার একটি বাসায় থাকতেন।
বংশালের সালমার বোন মুন্নি বেগম বলেন, ‘আমার বোনের সঙ্গে ১৭-১৮ বছর আগে দেলওয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি তিনবার সন্তান প্রসব করেন। যার একটিও বেঁচে নেই।
‘দুই মাস আগে আমার বোন দেলওয়ারকে ডিভোর্স দেন। এর ১৫ দিন পর আমরা নিজেরাই মীমাংসা করে দিই। এরপর আবার সংসারে ঝগড়া হলে তার স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আবার দেলওয়ারের সঙ্গে সংসার করতে চাইলে দেলোয়ার রাজি হননি। এ নিয়ে অভিমানে আসমা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
এদিকে রামপুরায় গৃহকর্মী সোনিয়াকে নিয়ে আসা গৃহকর্তা নাজগীর বলেন, ‘ছয় মাস আগে তার বোন আমাদের বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসে। তার পর থেকেই আমাদের বাসায় কাজ করছিল। গত রাতে আমার বাসার বারান্দায় ব্যায়াম করার রিংয়ের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
‘পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সোয়া ২টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিহতের গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরের কাঠপট্টি গ্রামে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয় দুটি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’