বাকি শুধু আজকের দিনটি। রাত পেরোলেই দেশের মানুষ সাক্ষী হবেন নতুন এক ইতিহাসের। শনিবার দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে সাজ সাজ রব রাজধানীতেও। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত হাজার হাজার ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে।
এ উপলক্ষে এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের কাছে পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। দেশের বামপন্থি দল ও নেতারাও আছেন এ তালিকায়।
সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের পাঠানো সেই আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নেতারা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
সিপিবির ৫ নেতা পেয়েছেন আমন্ত্রণপত্র। তারা হলেন সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ এবং তিন প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এন রাশেদা, শাহীন রহমান ও শামসুজ্জামান সেলিম।
আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বন্যাদুর্গত এলাকায় আছি, এখানে আসার পর শুনেছি অফিসে আমন্ত্রণপত্র এসেছে।’
বন্যাদুর্গত এলাকায় থাকার কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানান প্রিন্স।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা পেয়েছেন এই আমন্ত্রণপত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাশেদ খান মেনন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদেরকে দুটি আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে, তবে আমরা দুজন যেহেতু পার্লামেন্ট মেম্বার, তাই আলাদা করে দলীয়ভাবে দেয়া হয়নি।’
শনিবার সকালে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাবেন বলেও জানান মেনন।
জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দুজনকে আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে বলে জানান দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে (শিরীন আখতার) দুটি কার্ড দেয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে আলাদা করে দেয়নি। আমাদের বলা হয়েছে আপনারা যেহেতু পার্লামেন্ট মেম্বার, তাই আলাদা করে আর দিলাম না। মেনন ভাইদেরও ক্ষেত্রেই তাই করেছে।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলেও জানান ইনু।
বাসদ
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) উপদেষ্টা, বর্ষীয়ান রাজনীতিক খালেকুজ্জামানকে কার্ড পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের খালেকুজ্জামান ভাইকে কার্ড দিয়েছে, তবে তার শারীরিক অবস্থার কারণে যেতে পারবেন না।’
এদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোনো নেতা আমন্ত্রণপত্র পাননি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
অন্যদিকে আমন্ত্রণ পায়নি গণসংহতি আন্দোলন ও দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি দলীয়ভাবে বা আমাদের কেউ আমন্ত্রণপত্র পায়নি।’