রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বাসায় ফিরতে পারেন শুক্রবার সন্ধ্যায়।
বিএনপিপ্রধানের চিকিৎসক ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে ম্যাডামের কিছু প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে। তার পরে ওনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
‘মূলত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে, হাসপাতালে যেহেতু অনেক করোনা পেশেন্ট আসছেন, সেসব কারণে এই সিদ্ধান্ত আরকি।’
হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় ১০ জুন গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। পরের দিন দুপুরে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হয়। এতে তার হার্টে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। ব্লকের একটিতে পরানো হয় রিং।
গত ১৫ জুন খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিট থেকে কেবিনে নেয়া হয়।
হাসপাতাল-বাসা-হাসপাতাল
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত পাঁচবার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের এপ্রিলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। ৫১ দিন পর বাড়ি ফিরে একই বছরের ১২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবার তিনি একই হাসপাতালে যান।
এরপর ১৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮১ দিন হাসপাতালে থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপিপ্রধান।
সে সময় বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি করা হয়, দেশের বাইরে না নিলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কারণ তার যে রোগ, তার চিকিৎসা দেশে নেই।
খালেদা জিয়ার কী রোগ, সেটি জানানো হয়নি শুরুতে। পরে জানানো হয়, লিভার সিরোসিস হয়েছে তার। আর শরীরের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ একবার কোনো রকমে সামাল দেয়া গেছে। এর চিকিৎসা শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুই-একটি স্থানে আছে।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাসার বাইরে যান খালেদা জিয়া করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে। মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তিনি টিকা দিতে যান নিজের গাড়িতে করে। সেদিন দলের নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। হাসপাতালের কর্মীরা গাড়িতে বসা অবস্থায় তাকে টিকা দেন।