বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মার আশপাশের জমি এখন সোনার হরিণ

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২২ ১২:৫৭

স্থানীয় প্রশাসন ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, পদ্মা সেতু ঘিরে বেশ কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে জমি কেনাবেচার হিড়িক পড়েছে। অনেক হাউজিং প্রকল্প প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির উদ্দেশ্যে জমি কিনেছে।

পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে কয়েক বছর ধরে বদলে যাচ্ছে নদীর দুই প্রান্তের মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। সেতু উদ্বোধনের পরে এই পরিবর্তনের পালে লাগবে আরও জোর হাওয়া।

সেতুকেন্দ্রিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার কারণে পদ্মার দুই পারের জমির দাম বাড়ছে হুহু করে। ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদীখান উপজেলায় এক্সপ্রেসওয়ের আশপাশে জমির দাম এক দশক আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েক গুণ।

স্থানীয় প্রশাসন ও জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, পদ্মা সেতু ঘিরে বেশ কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে জমি কেনাবেচার হিড়িক পড়েছে। অনেক হাউজিং প্রকল্প প্লট ও ফ্ল্যাট বিক্রির উদ্দেশ্যে জমি কিনেছে।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদীখান উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েসংলগ্ন এলাকায় মডার্ন গ্রিন সিটি, আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ, স্বপ্ন ধারা, পুষ্প ধারা, বিক্রমপুর মডেল টাউন, আইডল সিটি, মাতৃভূমি সিটি, সাউথ ঢাকা, ধাত্রী প্রোপার্টিজ লিমিটেড, মেরনি গ্রুপ ও দখিনাচলসহ বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানির বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড দেখা গেছে।

শ্রীনগর উপজেলার হাষাড়া গ্রামের মো. আক্কাস আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ বছর আগে আমাদের এখানে শতাংশ প্রতি ভরাট জমি বিক্রি হতো ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকয়। আর এখন এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশের নিচু জমি বিক্রি হচ্ছে শতাংশ প্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায়।

‘বড় সড়ক নির্মিত হওয়ায় রাজধানীর অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি বাড়ি গড়ে তুলতে এখানে জায়গা কিনছেন। এ ছাড়া হাউজিং প্রকল্পগুলোও হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।'

সিরাজদীখান উপজেলার কসমেটিক ব্যবসায়ী শামীম বেপারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু ঘিরে সড়কপথের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আগে ঢাকা যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগত। এখন সেখানে মাত্র ৩৫-৪০ মিনিটেই যাওয়া-আসা করা যাচ্ছে।

‘পদ্মা সেতু চালুর আগেই ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেছে। এ সুবিধা নিয়ে এখানে জমির দাম হুহু করে বাড়ছে।'

জেলার শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা গ্রামের আরিফ হোসেন বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়ের পাশে এখন ফাঁকা কোনো জায়গা নেই। একটু গ্রামের ভেতর গেলে শতাংশ প্রতি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকায় জমি পাওয়া যাচ্ছে। তাও নিচু জমি। আর সেই জমি কিনে ভরাট করে আমি ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করছি। ঢাকার জমির কোম্পানির লোকজন সেই জমিই প্রতি শতাংশ ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করছেন।'

মডার্ন গ্রিন সিটির নির্বাহী পরিচালক লায়ন নুসরাত জাহান নাসফি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে এ অঞ্চলে জমি কেনার সময় জায়গার দাম অনেক কম ছিল। ছয় বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। আর বেশি দামে জমি কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।'

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতুর জন্য এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হওয়ায় সিরাজদীখানে জমির দাম আগের তুলনায় পাঁচ গুণ বেড়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে হওয়ায় যাতায়াতের ভোগান্তি কমেছে। পদ্মা সেতু ঘিরে সিরাজদীখানে রাস্তাঘাটেরও উন্নয়ন হয়েছে।'

জেলার লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘২০০৫ সালের তুলনায় বর্তমানে জায়গার দাম বেড়েছে ২০ গুণ। লৌহজং উপজেলায় মূল সড়কের পাশে যেসব জায়গা রয়েছে তার দাম শতাংশ প্রতি আট লাখ টাকার নিচে নেই। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে জীবনযাত্রার মান বাড়ছে, সেই সঙ্গে জমির দামও বাড়ছে।'

এ বিভাগের আরো খবর