হবিগঞ্জে নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকাগুলো থেকেও পানি নামছে। ভাটি এলাকা পানিতে ভরপুর থাকায় ও হাওরে পলি জমায় বানের পানি নামতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বোর্ডের হবিগঞ্জ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, খোয়াই নদীর পানি কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে। কমেছে কালনি-কুশিয়ারার পানিও।
তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না। তবে হবিগঞ্জের ভাটি এলাকা ও কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওর পানিতে টইটম্বুর। এ ছাড়া বানের পানিতে হাওরে পলি জমেছে। তাই পানি নামবে খুব কম গতিতে।’
রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় এখনও পানিবন্দি জেলার ৫ লাখ মানুষ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদর ও মাধবপুর উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে এ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৭২০ জন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইশরাত জাহান জানান, ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ২৩ হাজার ২৩৫ পরিবার। দুর্গতদের জন্য ৭০০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ টনের বেশি চাল বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। বন্যার্তদের চিকিৎসার জন্য মাঠে কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম।