বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসির সাফল্য হাতিয়ার ভোটে ম্লান?

  •    
  • ২৪ জুন, ২০২২ ০৯:৪৪

গত ১৫ জুন হাতিয়ায় ভোট হয় দুটি ইউনিয়নে। একটি কেন্দ্রে এমনকি ইভিএম গোপন কক্ষে স্থাপন না করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার পাশেই এক পোলিং এজেন্টকে ইভিএম কোলে নিয়ে বসে থাকার ছবি দেখা গেছে। অন্য একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানালার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব। একটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ছাড়াও মানুষের জটলা দেখা গেছে, যাদের সেখানে থাকার কথা ছিল না।

গত ১৫ জুন যেসব এলাকায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে কোথাও ভোটে অনিয়মের তথ্য না এলেও ব্যতিক্রম নোয়াখালীর হাতিয়া। সেখানে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোট হলেও ভোটাররা যে স্বাধীনভাবে তাদের প্রার্থী বাছাই করতে পারেননি, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে কিছু ভিডিও ও ছবিতে।

ইভিএমে কোনো ভোটারের পরিচয় আঙুলের ছাপে নিশ্চিত না হলে ভোট দেয়া সম্ভব না হলেও গোপন কক্ষে ‘ডাকাত’ নিয়ে খোদ নির্বাচন কমিশনের যে শঙ্কা, তার নমুনা দেখা গেছে হাতিয়ার বিভিন্ন কেন্দ্রে।

সেখানে সেদিন ভোট হয় দুটি ইউনিয়নে। একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানলার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব।

একটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ছাড়াও মানুষের জটলা দেখা গেছে, যাদের সেখানে থাকার কথা ছিল না।

নির্বাচন কমিশন বলছে, হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নে অনিয়মের বেশ কিছু ফুটেজ তারা পেয়েছে। পাঁচটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।

কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও হাতিয়ায় ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হয়নি। অনিয়মের প্রমাণ মিললে ভোটের ফলাফল বাতিলও করে দিতে পারবে কমিশন।

কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের আয়োজন করা নানা ভোট নিয়ে বিতর্কের মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই কমিশন কোনো ধরনের প্রভাব থেকে বের হয়ে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

গত ১৫ জুন কমিশনের প্রথম পরীক্ষা হয় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং শতাধিক ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলায়। সেদিনের ভোট নিয়ে কোনো বিতর্ক পাওয়া যায়নি সিংহভাগ এলাকায়। কুমিল্লা সিটিতে একেবারে শেষ দিকে ফল ঘোষণা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হলেও পরে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের ফল আসার পর প্রমাণ হয় কোনো ধরনের গড়বড় হয়নি সেখানেও।

তবে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দুই ইউনিয়নে ভোট নিয়ে অনিয়মের নানা তথ্য পাওয়া যেতে থাকে আগে থেকেই। এই দুই ইউনিয়নে প্রচার চলাকালে কয়েকজন প্রার্থী সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ও হাতে বিষ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

কমিশন তাদেরকে আশ্বস্ত করে ফেরত পাঠায়, তবে যে আশ্বাসে তারা এলাকায় ফিরেছেন, তার নমুনা ভোটে পড়েনি বলে অভিযোগ করছেন প্রার্থীরা।

একাধিক প্রার্থীর দাবি, ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোটের আয়োজন করা। তাদের অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আলী সেদিন প্রভাব খাটিয়েছেন ব্যাপকভাবে। তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন।

এসব অভিযোগকে ফালতু কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। বলেছেন, সেখানে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।

প্রার্থীদের যত অভিযোগ

চানন্দী ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢোল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ১৯ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল কমিশনারকে অনিয়ম অবহিত করে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন আশ্বস্ত করেছিল সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট দেবে। সেই আশ্বাসে আমরা এলাকায় এসে প্রচার-প্রচারণা করি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে মোহাম্মাদ আলীর লোকজন বাধা সৃষ্টি করছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে ভোটারদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যারা ভোটকেন্দ্রে গেছেন তাদের ফিঙ্গার নিয়ে বাইর করে দিয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে গোপন বুথ জানালার পাশে রাখা হয়েছে যাতে বাইরে থেকে টিপ দিয়ে ভোট দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই প্রার্থী। কিন্তু ভোট দিতে পারি নাই। আমাকে তো প্রশাসনের লোকজন আটকে রেখেছে ১১টা পর্যন্ত। সেই সময় দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিস্ট্রেট বের হইতে না করছে। ভোটকেন্দ্রের পাশে যখন আমি অবস্থান নিছি, তখন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি গিয়ে আমার লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে ফেলেছে। ভোটের পরের দিনই জেলা নির্বাচন অফিস এবং জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছি।’

এখনও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাননি বলেও জানান এই প্রার্থী।

সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ও হাতে বিষ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এই ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনিরুল হক মিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার থেকে ফিঙ্গার লইছে আর লইয়ে কই আপনাগো কাজ শেষ, আপনারা চলে যান। ভিতরে আওয়ামী লীগ অলারা বই রইছে। তারা ভোট দিয়া দিছে৷ ভোট এভাবে হইছে।’

তবে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী আওয়ামী লীগের আজহারউদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন তো পিওর নির্বাচন হয়েছে। এ তো আগে থেকেই ছলনাগুলা গাইয়া যাইতেছে৷ নির্বাচন তো ফেয়ার নির্বাচন হইছে। ইভিএমে ভোট হইছে। সুন্দর ভোট হইছে।’

হরণী ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুসফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, “প্রশাসনের লোকজন সবাই টিপ দিয়া ভোট নিয়া নিছে। ভোটের দিন ডিসি সাহেবকে ফোন দিছি, তিনি ১০ সেকেন্ডের কম কথা বলছেন। এসপি বলেন, ‘আমাকে ফোন দেও কেন?’

“আমার সামনে একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিচ্ছে, আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে বললে তিনি বলেন, ‘আপনি লিখিত অভিযোগ করেন।’”

হাতিয়া বাজারের ঈশিতা হোটেলে পোলিং এজেন্টেদের ১০ হাজার টাকা এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের ২০ হাজার টাকা দেয়ার অভিযোগ তোলেন মুসফিকুর রহমান। বলেন, ‘এই হোটেলের মালিক মোহাম্মাদ আলী। পুলিশ তিন দিন ধরে এই হোটেলে থাকছে, খাইছে। টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করছে।’

তবে এই ইউনিয়নে জয়ী নৌকার প্রার্থী আক্তার হোসেন বলেন, ‘ইভিএমে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের অনেক উপস্থিতি ছিল।

‘অভিযোগকারী মুসফিকুর রহমান জনবিচ্ছিন্ন। প্রথম থেকেই তিনি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এগুলো করছেন।’

ফলাফল একপেশে

হাতিয়ার দুই ইউনিয়নে ভোটের ফলাফলে নির্বাচনকে একপেশে বলা যায়। চান্দনী ইউনিয়নে জিতেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজহার উদ্দিন। ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৮১৫টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঢোল মার্কা নিয়ে লড়া আমিরুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ২৯০ ভোট।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মনিরুল হক মিরাজ হাতপাখা মার্কা নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১৬১টি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে লাইজু আক্তার টেলিফোন প্রতীক নিয়ে ১৯১, আবুল কালাম মোটরসাইকেল নিয়ে ৬৩, অটোরিকশা নিয়ে আকবর হোসেন ৩৯, টেবিল ফ্যান নিয়ে বেলাল মাহমুদ ২৬, ঘোড়া নিয়ে নিজামউদ্দিন ২৫, আনারস নিয়ে তাজুল ইসলাম ২৩ এবং চশমা নিয়ে নুরুল ইসলাম ১৩ ভোট পেয়েছেন।

হরণী ইউনিয়নেও একই চিত্র। এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে আখতার হোসেন জিতেছেন ৭ হাজার ৭২ ভোট পেয়ে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩৫ ভোট।

বাকি ৮ প্রার্থীর মধ্যে মো. মানিক অটোরিকশা নিয়ে ১১০, আকবর হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে ৬৭, টেবিল ফ্যান নিয়ে ইসমাঈল হোসেন ৪৩, আখতারুজ্জামান দুটি পাতা প্রতীকে ২৮, আবুল কালাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ ভোট, টেলিফোন প্রতীকে মনিরউদ্দিন ১৯ ভোট, আমেনা বেগম ঢোল প্রতীকে ১০ এবং ফাতেমা ইশরাত চশমা প্রতীকে পান ৯ ভোট।

যা বলছে নির্বাচন কমিশন

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন পরিচালন আইন শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মেদকে জানিয়েছি। ছবি ও ভিডিও কমিশনের সকলকে দেখিয়েছি, জানিয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

গোপন কক্ষে ‘ডাকাতের’ কথা এই কমিশনারই বলেছিলেন।

একটি কেন্দ্রে গোপন বুথ এমন জায়গায় দেখা গেছে যেখানে জানলার বাইরে থেকেও বোতাম টেপা সম্ভব

গত ৩০ মে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইভিএমের মধ্যে চ্যালেঞ্জ একটাই। আর কোনো চ্যালেঞ্জ আমি দেখি না। একটা ডাকাত, সন্ত্রাসী গোপন কক্ষে একজন করে দাঁড়িয়ে থাকে। বলে, আপনার ভোট হয়ে গেছে চলে যান। দিস ইজ দ্য চ্যালেঞ্জ।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল একাধিকবার বলেছেন, গোপন কক্ষে ডাকাত ঠেকাতে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নে অনিয়মের বেশ কিছু ফুটেজ আমরা পেয়েছি। পাঁচটি বেসরকারি চ্যানেলের ফুটেজ ও একটি মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও সিডি আকারে ফাইলিংসহ কমিশনের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’

কমিশন দেখেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই দেখা উচিত।’

যদি অনিয়মের প্রমাণ মেলে তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাডভান্স বলতে পারব না, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত।’

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অনিয়মের কারণে ভোট বাতিল করে দিতে পারে কমিশন। ফলে অনিয়ম প্রমাণিত হলে এখনও এই ইউনিয়নে ভোট বাতিলের ক্ষমতা কমিশনের হাতে রয়েছে।

অভিযোগের তির মোহাম্মদ আলীর দিকে, তিনি যা বলছেন

পরাজিত প্রার্থীদের অভিযোগ নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌসের স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ আলীর বিরুদ্ধে, তবে সব অভিযোগকে ‘ফালতু কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এসব ফালতু কথার আমি জবাব দিতে চাই না। ওরা একজন র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। আরেকজন (দস্যু) বাহিনীর কমান্ডার। এরা নানা কিছু বলাবলি শুরু করেছে। এদের অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং এসপি হাজার হাজার মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেছে। তারা বলেছে কোনো অভিযোগ নাই।’

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোট হয়েছে। পাঁচজন করে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট দুইটা ইউনিয়নে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছে, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড আছে। আমি এমন কী হয়ে গেলাম? আমি ঈশিতা টাওয়ারে বসে বসে এগুলো করি না। এসব ফালতু কথা শুনতে খুব খারাপ লাগে। প্লিজ মাফ করবেন।’

সুষ্ঠু ভোটের দাবিতে আগেই ইসিতে অবস্থান

গত ৩১ মে প্রচার শুরুর আগেই দুই ইউনিয়নের ২৭ জন প্রার্থী গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে এবং হাতে বিষের বোতল নিয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। প্রচারে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে ২ জন চেয়ারম্যান ও ২৫ জন সদস্য প্রার্থী এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর