বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যাত্রী পাচ্ছে না মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২২ ২২:৩২

চার শতাধিক আসনের ট্রেন ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ যাত্রী হয়েছিল ৬২ জন। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও মানুষ ভালো করে জানে না এ ট্রেনের কথা।

উদ্বোধনের পর তেমন যাত্রী পাচ্ছে না ঢাকা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন। ৪০৮টি আসনের ট্রেনটি ঢাকা ছাড়ছে কোনো দিন ১৫ জন, কোনো দিন ২০ জন যাত্রী নিয়ে।

তবে ধীরে ধীরে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। একে তো এটি পর্যটন মৌসুম নয়। তার ওপর মানুষ এখন এ ট্রেনের বিষয়ে অবগত নয়।

গত ১ জুন ভারতের নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ফ্ল্যাগ-অফের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও ভারতের রেলমন্ত্রী আশ্বিনি বৈষ্ণব এটি উদ্বোধন করেন। ওইদিন রাতে যখন ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছে, তখন যাত্রীসংখ্যা ছিল ১২। পরের দিন রাতে আটজন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে প্রথমবারের মতো ভারতে পাড়ি দেয় ট্রেনটি।

মিতালী এক্সপ্রেস ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার। আর ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় প্রতি রবি ও বুধবার।

নতুন এ ট্রেনে কেমন যাত্রী হচ্ছে জানতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার লিটন দে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৩ জুন সর্বোচ্চ যাত্রী হয়েছিল ৬২ জন। না হলে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি যাত্রী নেই।’

তিনি জানান, চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত একটি ট্রেনে এক দিনে ভারত থেকে সর্বোচ্চ যাত্রী এসেছেন ৩৩ জন। এ ছাড়া কোনো দিন ১৭, কোনো দিন ২২ জন করে যাত্রী আসছেন ভারত থেকে।

যাত্রী কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে এখন ট্যুরিস্টদের সময় না। তাছাড়া নতুন ট্রেন হওয়ায় এখনও অনেক মানুষ এটির কথা জানে না। যাত্রী বাড়বে, তবে সময় লাগবে।’

মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে আসে ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। আর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

প্রথম যাত্রায় ট্রেনে মাত্র যে আটজন যাত্রী ছিলেন তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি, পাঁচজন ভারতীয় নাগরিক।

ট্রেনের ভাড়া এসি বার্থ ৫ হাজার ২৫৫ টাকা, এসি সিট ৩ হাজার ৪২০ ও এসি চেয়ার ২ হাজার ৭৮০ টাকা।

ট্রেনটি হলদিবাড়ী (ভারত)-চিলাহাটি (বাংলাদেশ) রুট দিয়ে সীমান্ত পাড়ি দেয়। যাত্রা শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগছে ৯ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট।

ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ার পর ট্রেনটি চিলাহাটি পৌঁছায় বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে আর সেখান থেকে ছাড়ে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। এরপর এটি ভারতীয় সময় ৬টায় হলদিবাড়ী (ভারত) পৌঁছায় এবং হলদিবাড়ী থেকে ৬টা ৫ মিনিটে ছেড়ে ভারতীয় সময় ৭টা ১৫ মিনিটে পৌঁছায় নিউ জলপাইগুড়িতে।

যাত্রী না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অনেকে আসলে এখনও জানতে পারেনি এ ট্রেন চালু হয়েছে। এ কারণে ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা কম হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আসলে দার্জিলিংয়ে যে সিজনে মানুষ যায়, তখনই ট্রেনটিতে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে। তবে আমি জানি না দার্জিলিংয়ে মানুষ কখন যায়।’

যাত্রীসংখ্যা কম হওয়ায় চিন্তার কারণ নেই বলে তিনি মনে করেন। কারণ ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটিতেও শুরুর দিকে যাত্রীসংখ্যা কম ছিল। শুরুর দিকে সাতজন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার রেকর্ডও আছে ওই ট্রেনের।

ট্রেনটির ব্যাপারে রেলওয়ে কোনো প্রচার চালাচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওই রকম কোনো প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আমার জানা নেই।

মিতালী এক্সপ্রেস ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলা যাত্রীবাহী তৃতীয় ট্রেন। অন্য দুটি ট্রেন হলো ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ও ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’।

একসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের আটটি রেল সংযোগ ছিল। পাকিস্তান আমলে এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বন্ধ থাকা লাইনগুলো চালুর উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর