বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রমিজের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, পাশে চিরকুট: পুলিশ

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২২ ২২:১৪

কেএমপি সোনাডাঙ্গার সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক বলেন, ‘প্রমিজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঘরে বেশ কিছু স্থানে রক্তের দাগ ও সিসিটিভির ফুটেজে মরদেহ উদ্ধারের আগে ওই ঘর থেকে তার এক বান্ধবীকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে।’

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র প্রমিজ নাগের মৃত্যুতে রহস্য দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আত্মহত্যার চিরকুট থাকলেও মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় এই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর কিছু সময় আগে প্রমিজের ফ্ল্যাট থেকে তার বান্ধবীকে বের হয়ে যেতে দেখা গেছে সিসিটিভি ফুটেজে। ঘটনা তদন্তে ওই তরুণীকে খুঁজছে পুলিশ।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক আহমেদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রমিজ খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামে।

খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গার গোবরচাকা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। সেখানেই বুধবার সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

কেএমপি সোনাডাঙ্গার সহকারী পুলিশ কমিশনার আতিক বলেন, ‘প্রমিজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঘরে বেশ কিছু স্থানে রক্তের দাগ ও সিসিটিভির ফুটেজে মরদেহ উদ্ধারের আগে ওই ঘর থেকে তার এক বান্ধবীকে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

‘এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তার বাবা-মাকে উদ্দেশ করে লেখা হয়েছে যে কেউ একজন তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করছিলেন। তাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা লেখা আছে। গোটা বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করে আমরা শুধুমাত্র আত্মহত্যা হিসেবে নিতে পারছি না।’

কেএমপি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে যে মেয়েটিকে প্রমিজের ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে, তিনিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। প্রমিজের সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এখন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না।

‘ছাত্রীটি বিত্তবান পরিবারের হওয়ায় প্রমিজকে বিভিন্ন সময় অর্থ সহায়তা এবং ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছিলেন। বুধবার দুপুর থেকে মেয়েটি প্রমিজের ফ্ল্যাটেই ছিলেন। প্রমিজের বন্ধুরা জানান সন্ধ্যায় প্রমিজের সঙ্গে মেয়েটির কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর প্রমিজকে তিনি মারধর করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান।’

প্রমিজের বন্ধু আজগর রাজ বলেন, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে প্রমিজের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এটা আমাদের বিভাগের সবাই জানত। কিছুদিন আগে ক্যাম্পাসে কথা-কাটাকাটির পর তিনি প্রমিজকে মারধর করেছিলেন।’

একই কথা জানিয়েছেন প্রমিজের চাচাতো ভাই দীপংকর নাগও। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে ওই তরুণী প্রমিজকে কিছু উপহার দিয়েছিলেন। সেগুলোর মূল্য এখন ফেরত চাচ্ছিলেন। প্রমিজ বাড়িতে এসব কথা শেয়ার করে টাকাও চেয়েছিলেন।’

কেএমপি কর্মকর্তা আতিক জানান, ওই তরুণীকে খুঁজছে পুলিশ। প্রমিজের বাবা এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর