দেশের প্রচলিত আইনি সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডারেরা। তারা নানামুখী হয়রানির শিকার হচ্ছে। অথচ ন্যায্য নাগরিক অধিকারটুকুও পাচ্ছে না।
লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর আইনি সুরক্ষা ও অধিকার সংরক্ষণে বৃহস্পতিবার বিকেলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আলোচকেরা এমন মন্তব্য করেন। এলইজিডি প্রকল্পের সহযোগিতায় এই সভার আয়োজন করে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জয়া সিকদার বলেন, ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ফলে আইনি সুরক্ষা ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ঠিকমতো স্বাস্থ্যসেবাও পান না।’
নারী পক্ষের সদস্য আইনজীবী কামরুন নাহার বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের অনেক মানুষ সমাজের ভয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখে। কারণ পরিচয় প্রকাশ হলে হয়রানির শঙ্কা থাকে। তবে সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
‘দেশে প্রতিদিন ৩০০ ট্রান্সজেন্ডার শিশু জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে এদের কেউ কেউ হত্যা বা পাচারের শিকার হয়। দেশে সবচেয়ে বেশি পাচারের শিকার হয় সাতক্ষীরায়।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় আরও অংশ নেন মানবাধিকার কর্মী মুশফিকা লাইজু, নাগরিক উদ্যোগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাদিরা পারভীন, আশার আলোর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।