বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসামির বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২২ ২১:১৪

কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘জামিনে বেরিয়ে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকায় ‘ম্যানেজ’ করে মামলা আপোষের প্রস্তাব দেয় নাইমের পরিবার। আপোষ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয় নাইম।’’

বরগুনা সদরের নদর ইউনিয়নে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামির বিরুদ্ধে বাদী ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাছে জমা দেয়া বাদীর আবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাহীনতায় মেয়েটি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। তবে আসামির বাবা দাবি করেছেন, তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা চেয়ে মামলার বাদী ও স্কুলছাত্রীর মা সম্প্রতি বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির কাছে ওই আবেদন করেন।

বাদী পক্ষের অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত নাইম জামিনে বেরিয়ে ঘটনা আপোষের চেষ্টা করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ ও তার মাকে হত্যা হুমকি দেন।

১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্রীর মা সদর উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের আমতলী-নিমতলী এলাকার নাইম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, নাইম হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নাইম ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার চিৎকারে বড় দুই বোন ছুটে এলে নাইম পালাতে চেষ্টা করেন। তখন তিন বোন মিলে নাইমকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে দুই নারী এসে তাদের ভাইকে (নাইম) ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর কিশোরীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ১৪ মার্চ নাইমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৭ দিন পর ১১ এপ্রিল জামিনে বের হন নাইম।

কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘জামিনে বেরিয়ে এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকায় ‘ম্যানেজ’ করে মামলা আপোষের প্রস্তাব দেয় নাইমের পরিবার। আপোষ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেয় নাইম।’’

তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েকে নিয়ে বিপদগ্রস্ত। মেয়েকে এখানে রাখা নিরাপদ মনে করিনি। তাই ঢাকায় আমার অন্য দুই মেয়ের বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’

কিশোরীর বড় বোন বলেন, ‘ছোট বেলায় আমাদের বাবা মারা গেছে। পাঁচ বোনকে পিঠা বিক্রি করে মা লালন-পালন করে বড় করেছেন। পাঁচ বোনের মধ্য আমাদের তিনজনের বিয়ে হয়েছে। এই বোনটা স্কুলে পড়ত, সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। নাইমের উত্ত্যক্তের কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে হয়েছিল।

‘এরপর সে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। মামলা করার পর জামিনে বেরিয়ে নাইম ও তার পরিবার আমার বোনকে ধর্ষণ ও মাকে খুনের হুমকি দেয়া শুরু করে। নিরাপত্তার কারণে আমি বোনকে ঢাকায় নিয়ে গেছি। আমার বোনের পড়াশোনা বন্ধ। নাইমের ভয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে নাঈমের বক্তব্য জানার চেষ্টা করে নিউজবাংলা। তবে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তা জানা সম্ভব হয়নি।

তবে নাইমের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে মামলায় ফাাঁসানো হয়েছে। ওরা বোনেরা কেউ ভালো না, সবাই জানে এলাকায় ওই মেয়েরা কী করে। তদন্তে সত্য বের হয়ে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বাদী অনিরাপদ মনে করলে আইনি সহায়তা নিতে পারে। আমরা এ ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর