বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মা সেতু: জগন্নাথে আনন্দ আয়োজন

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২২ ২০:০৩

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক পরিমল বালা বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাঙালির গর্বের একটি অর্জন। দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কঠিন জবাব। পদ্মা সেতু বিশ্বের বুকে বাঙালি ও বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে।’

পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।

বৃহস্পতিবার নীল দলের সভাপতি পরিমল বালা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়।

এ সময় নির্বাহী কমিটির নেতারা ছাড়াও, অনুষদ কমিটির সদস্যরা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যাপক পরিমল বালা বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাঙালির গর্বের একটি অর্জন। দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি কঠিন জবাব। পদ্মা সেতু বিশ্বের বুকে বাঙালি ও বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছে।’

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সততা, সাহসিকতা, বিচক্ষণতা ও দেশপ্রেমের অনন্য স্থাপনা। এটি আমাদের স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।’

মিছিল শেষে এক আলোচনায় নেতারা বলেন, এই সেতু নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তারা কৃতজ্ঞ।

বক্তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আলোচনা শেষে উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরই পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যায় তারা। ঋণচুক্তি হয় বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে।

তবে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়া, দাতা সংস্থাটির এই অভিযোগ তোলার পেছনে দেশের একটি শ্রেণির হাত থাকার অভিযোগ নিয়ে শুরু থেকেই তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে।

পরে সরকার নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে ২০১৭ সালে কানাডায় করা একটি মামলার রায়ে বিচারক বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকে ‘গালগপ্প’ বলে উড়িয়ে দেয়।

এসব ঘটনায় পদ্মা সেতু কেবল একটি স্থাপনা হয়ে থাকেনি, এর সঙ্গে রাজনীতিও জড়িয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে দেখাতে চাইছে। দেশীয় অর্থায়নে এর আগে এত বড় প্রকল্প কখনও হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নিজ অর্থে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই চাপ সামলাতে পারছে না।

এসব নানা ঘটনার কারণে জমকালো আয়োজনে সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর