বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক ইউপি সদস্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২২ ১৬:২৮

নরসিংদীর এসপি কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। সুজন সূত্রধরের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা আদালতে নেয়া হবে।’

নরসিংদীর হাজীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সুজিত সূত্রধরকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারা হলেন উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের বুদিয়ামারা (দড়ি নবীপুর) গ্রামের ২৬ বছরের মাসুম, ২২ বছরের শিমুল মাহমুদ ও একই ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি বাজার এলাকার ২৩ বছরের সোহাগ মিয়া।

গ্রেপ্তার তিনজনসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম (পিপিএম)।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি আশরাফুল আজীম জানান, সুজিত সূত্রধর হাজীপুর কাঠ বাজারের ‘সুজন টিম্বার ট্রেডার্স অ্যান্ড ফার্নিচার মার্ট’ নামের দোকানের মালিক। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছিলেন।

এক সপ্তাহ আগে দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রি মাসুমের সঙ্গে তার ছেলে সুজন সূত্রধরের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় সুজন মাসুমকে চড়থাপ্পড়ও মারেন। এ ঘটনায় মাসুম দোকানের মালিক সুজিত সূত্রধরের কাছে বিচার দাবি করেন। ঘটনার মীমাংসায় তিনি মাসুমকে আশ্বস্তও করেন। বুধবার সন্ধ্যার পর দোকানে বসে ঘটনার মীমাংসার কথাও ছিল। সেই অনুযায়ী সুজিত সূত্রধর ও সুজন সূত্রধর তাদের দোকানে অবস্থান করছিলেন।

এ সময় মাসুমের নেতৃত্বে কয়েকজন দোকানে ঢুকে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা সুজিত সূত্রধরকে কুপিয়ে জখম করে। একই সঙ্গে সুজন ও দোকানের আরেক কর্মচারী দিনাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সুজিত সূত্রধরকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসপি আরও জানান, সুজিত সূত্রধর হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা, নিবার্চনসংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে অনেকের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। এসব ঘটনার জেরে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

ঘটনার পর নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ, তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত তিনজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

এসপি কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ‘এ ঘটনায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। সুজন সূত্রধরের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা আদালতে নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর