১৬ বছর আগে মা-মেয়ে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।
মামলার অপর এক আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত।
দুই আসামির আপিল গ্রহণ এবং এক আসামির আপিল খারিজ করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইফতারের পর রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ধুয়াপাড়া যৌবন গ্রামের সৌদিপ্রবাসী বজলুর রহমানের স্ত্রী মিলিয়ারা খাতুন ওরফে রোকসানা ওরফে মিলু এবং তার মেয়েশিশু পারভীন ওরফে সাবনুরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন মিলির বাবা রফিকুল ইসলাম মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মিলির মাথা গোয়ালঘরে এবং সাবনুরের মাথা টয়লেটে পাওয়া যায়।
দুই বছর পর এ মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মেসবাউদ্দৌলা রায় দেন।
রায়ে ধুয়াপাড়া যৌবন লাইনপাড়ার সোনাদ্দি ওরফে সোনারুদ্দি, ইসমাইল হোসেন বাবু, তরিকুল ইসলাম ভুতা এবং মো. মোক্তারকে (পলাতক) মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সেই থেকে তিন আসামি কনডেম সেলে রয়েছেন।
নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তিন আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।
শুনানি শেষে বিচারপতি শহিদুল ইসলাম ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চ ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ রায় দেয়। রায়ে আপিল খারিজ করে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়।
রায়ে পলাতক মোক্তারের বিষয়ে বলা হয়, আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তারের পর থেকে তার দণ্ড কার্যকর হবে।
এরপর কারাবন্দি তিন আসামি আপিল বিভাগে আপিল করেন, তবে পলাতক মোক্তার আপিল করেননি।
ওই আপিলগুলোর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেয় আপিল বিভাগ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি ইসমাইলের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এস এম শাহজাহান। সোনারুদ্দির পক্ষে ছিলেন হেলাল উদ্দিন মোল্লা। আর তরিকুলের পক্ষে ছিলেন এস এম বকস কল্লোল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ‘শুধু তরিকুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল। তাই তার আপিল খারিজ এবং দীর্ঘদিন কনডেম সেলে থাকার বিষয়টি বিবেচনায় তার দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত।’