গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মা-মেয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
নরসিংদীর পলাশ থানার নিজামুদ্দিন ঘাট এলাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাত বছর বয়সী মুর্শিদা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাতেই স্বজনরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
নরসিংদীর বঙ্গারচর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় নিজামুদ্দিন ঘাটে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। প্রাথমিকভাবে মরদেহটি কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যায় ঝাঁপ দেয়া মেয়ের বলে ধারণা করি। এরপর স্বজনদের ছবি পাঠাই। তারা মরদেহ শনাক্ত করলে আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হয়।’
মুর্শিদার মামা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমাদের এক আত্মীয় ফেসবুকে ছবি দেখে প্রথমে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানান। এরপর বঙ্গারচর নৌ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করলে ছবি এবং পোশাক দেখে নিশ্চিত হই। রাতেই মরদেহ কাপাসিয়ায় নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।’
দুই মেয়েকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে এক নারী ঝাঁপ দেয়ার খবরে রোববার থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর ডুবুরিদল যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ৯ বছরের শিশু তাহমিদা আক্তারকে নদী থেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এই শিশুটিই তার মা আরিফা আক্তার ও ছোট বোন মুর্শিদা আক্তারের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তাদের বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বিবাদিয়া গ্রামে। তাদের বাবা আব্দুল মালেক বেঁচে নেই।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর পর অভিযান সমাপ্ত করার ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান জানান, সিংহশ্রীতে নিখোঁজের জায়গা ছাড়াও আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে খুঁজেও তারা মা-মেয়েকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় পাননি।