রাজধানীর একটি স্কুলের শিশু ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের মামলায় ওই স্কুলের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই শিক্ষকের নাম মো. রোকনুজ্জামান। তিনি ওই স্কুলের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক।
বুধবার সন্ধ্যায় শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরা থানায় মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়। এরপর আমরা ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছি। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’
শিশুটির পরিবারসূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারির পর মে মাসে স্কুলে সশরীরে ক্লাস শুরুর পর থেকে ৯ বছর বয়সী ছেলে সন্তানের আচরণে পরিবর্তন দেখতে পান তার বাবা-মা। হঠাৎ করেই শিশুটি ভয় পেতে শুরু করে, ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে এবং স্কুলে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কিন্তু এর পিছনে কোনো কারণ জানচ্ছিল না শিশুটি। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষার ফল খারাপ হতে থাকে।
পরিবার জানায়, ফলের উন্নতির জন্য বাসায় একজন শিক্ষক রাখার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা-মা। এক শিক্ষককে বাসায় এসে পড়ানোর কথা বললে তিনি স্কুলের আরেক শিক্ষককে দেখিয়ে দেন এবং বাচ্চাকে পড়ানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু সে শিক্ষক বাসায় পড়ানোর জন্য এলে তাকে দেখে আঁতকে ওঠে শিশুটি। তার কাছে পড়বে না বলে কান্নাকাটি শুরু করে।
টানা কয়েকদিনে শিশুটি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়লে মঙ্গলবার মনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নেয়া হয়। সেখানে আলাপকালে শিশুটি ওই শিক্ষকের নিপীড়নের বিষয়ে চিকিৎসককে জানায়। স্কুলের যে শিক্ষক তাকে বাসায় পড়াতে এসেছিলেন তিনি তার বাংলা ক্লাস নেন। তিনি বেশ কয়েকবার স্কুলের টয়লেটে ও ফাঁকা ক্লাসরুমে যৌন নিপীড়ন করেন এবং এসব বিষয় কাউকে না জানাতে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান বলে জানায় সে শিশু।
ঘটনা জানার পর বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে রোকনুজ্জামান নামের ওই শিক্ষকের নামে মামলা করে পরিবার।
স্কুলটির উপাধ্যক্ষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে শিশুটির পরিবার থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আমরা নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখতাম। সন্ধ্যায় রামপুরা থানার ওসি সাহেব আমাদের ফোন করে ঘটনা জানালে আমরা ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। ওই শিক্ষক দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবেন।’